নজরবন্দি ব্যুরো: রাজ্যজুড়ে শীতের মরশুম। বছরের এই শেষভাগে এসে ভ্রমণপ্রিয় মানুষেরা বেড়ানোর পরিকল্পনা করতে শুরু করে দেয়। পরিবার ও প্রিয়জনের সঙ্গে কয়েকটা দিন কাটানোর জন্য কোথায় যাওয়া যায়, তা ভেবেই কেটে যায় বেশ কয়েকদিন। একঘেয়ে দীঘা পুরী আর নয়, এবার যেতে চাইছেন অন্য কোনও ঠিকানায়। কলকাতার খুব কাছেই রয়েছে একটি জনপ্রিয় পর্যটনস্থল। বাজেটের মধ্যেই ঘুরে আসতে পারেন। কোথায় সেই জায়গা? কীভাবে যাবেন? বিস্তারিত জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন: কলকাতার কাছেই ইতিহাসের খনি, একদিনের ছুটিতেই ঘুরে আসুন
আজকের গন্তব্য মুকুটমণিপুর। কলকাতার কাছেই বাঁকুড়া জেলার এই জায়গাটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। একে বাঁকুড়ার রানী ও বলা হয়ে থাকে। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে দ্বিধা ভুলে চলে আসতে পারেন এখানে। প্রত্যেক বছর পুজোর সময় ভিড় চোখে পড়ে এখানে। শাল, মহুয়া, আকাশমনির জঙ্গলে ঘেরা সবুজ বন। আর তার মাঝখান থেকেই নীল জল কংসাবতী নদী বয়ে গিয়েছে। এই নদীর রূপ ও সৌন্দর্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে। শীতের আমেজ উপভোগ করছে বঙ্গবাসী। এই সময় অনেকেই মুকুটমণিপুর ঘুরতে যায়। তাই প্রশাসনের তরফে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রশাসনিক আধিকারিকেরা ভালোভাবে পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখেছেন। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সেই বিষয় নিয়েও খতিয়ে দেখছেন তারা। এখানে রাত্রিবাসের জন্য লজ ও হোটেল রয়েছে। বাজেটের মধ্যেই থাকার জায়গা পেয়ে যাবেন। এছাড়া খাওয়া দাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। দেরি না করে ঝটপট প্ল্যান করে চলে আসুন বাঁকুড়ার রানীর কাছে। পর্যটকদের নিয়ে কাঁসাই আর কুমারীর সঙ্গমস্থলের বিশালাকার জলাধারে বুকে নৌ ভ্রমণের জন্য ইতিমধ্যেই ৬০ টি নৌকো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাথাপিছু খরচ পড়বে ১৫০ টাকা।
কীভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে লোকাল ট্রেনে করেই চলে আসতে পারেন মুকুটমণিপুর। হাওড়া থেকে পুরুলিয়াগামী ট্রেন ধরে নামতে হবে বাঁকুড়া স্টেশন। সেখান থেকে গাড়ি করে গন্তব্যে যেতে হবে। এছাড়া গাড়িতে আসতে পারেন, সময় লাগবে পাঁচ ঘণ্টার কাছাকাছি। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস পরিষেবাও নিতে পারেন।
একঘেয়ে দীঘা পুরী আর নয়, লোকাল ট্রেনে চেপে ঘুরে আসুন এই ঠিকানায়