নজরবন্দি ব্যুরো: বাংলায় ভোট, স্লোগান এসব পিছিয়ে ফেলে আজ সারাদিন ধরে চলছে আইন, উকিল আর আদালত। হাই প্রোফাইল নেতা নেত্রীদের ঘরের দোর গড়ায় দাঁড়িয়ে পুলিশ, কেউ বা আবার নিজেই লকআপে। এসবের মধ্যেই মোড় ঘুরছে পামেলা কান্ডের। এতদিন বেশ শিরোনামে ছিল পামেলাকে ফাঁসিয়েছে রাখি বাঁধা ভাই রাকেশ সিং। তবে রাকেশ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণ হলে তিনি মানহানির মামলা করবেন কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে। এবার খোদ পুলিশই পৌঁছে গেলেন তাঁর বাড়িতে। ২ ঘন্টা পর তল্লাশি শুরু নারকোটিক্স অফিসারদের।
আরও পড়ুনঃ মইদুল হত্যা মামলায় ২ সপ্তাহের মধ্যে সিট’কে রিপোর্ট জমার আদেশ হাইকোর্টের।
সূত্রের খবর গতকালই রাকেশ সিংকে সমন পাঠিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার ৪টের সময় লালবাজারে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। তবে নোটিসের ব্যপারে বলতে গিয়ে বিজেপি নেতা জানিয়েছিলেন তিনি কোন চিঠি পাননি। উল্লেখ এই মামলায় সরাসরি কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধেই মানহানি মামলার করার হুঁশিয়ারি দিয়ে বসেছিলেন রাকেশ সিং।
ইতিমধ্যে কলকাতার নগরপাল সৌমেন মিত্রর কাছে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন। গতকালই কলকাতা পুলিশ নোটিস দিয়েছিলেন জেরা করারা জন্য। সেই জেরায় স্থগিতাদেশের জন্য তিনি আদালতে আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু তাও খারিজ করে দেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। এবার বেলা ৪টের আগেই সরসরি বিজেপি নেতা রাকেশ সিং-এর বাড়িতেই হানা দিল কলকাতা পুলিশ। আলিপুরে তাঁর বাড়িতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে হাজির এনসিবি আধিকারিকরা। যদিও রাকেশের বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেননি তাঁরা। বাধা দেন তাঁর ছেলে ও সিআইএসএফরা। রাকেশ সিং-এর ছেলের সাফ জানিয়েছেন পুলিশের কাছে কোনও বৈধ কাগজ নেই তাই তাঁরা বাড়ির ভিতর ঢুকতে দেবে না পুলিশকে।
২ ঘন্টা পর তল্লাশি শুরু নারকোটিক্স অফিসারদের। পুলিশের তলবে সাড়া না দিয়ে সময়ে হাজিরা দিতে পারবেননা, এবং তার কারন হিসেবে দিল্লিতে পুর্ব নির্ধারিত কাজের কথা ইমেল মারফত জানিয়েছিলেন তিনি। সেই সুত্রেই রাকেশের ছেলে সাহেব সিং জানিয়েছেন, তাঁর বাবা বাড়িতেই নেই, বাড়িতে ঢুকে কী তদন্ত করবে পুলিশ। অপর দিকে পুলিশ জানিয়েছে আলিপুর থানায় জমা পড়া মাদক কান্ডের জেরেই এই তদন্ত, সেদিক থেকে বাধা দেওয়ায় সিআইএসএফদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ, এবং পুলিশের বক্তব্য ছিল বাড়ির ভিতরেই আছেন রাকেশ। দিল্লি যাননি তিনি। দীর্ঘ টালবাহানার ২ ঘন্টা পর রাকেশের বাড়িতে ঢুকল পুলিশ। বাড়ির ভেতরে তলাশি চালাচ্ছে পুলিশের নারকোটিক্স বিভাগের অফিসারেরা।