নজরবন্দি ব্যুরোঃ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে সরানোর ভাবনা রাজ্য সরকারের। এবিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রীসভায় প্রস্তাব পাশ করানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই বিল আনতে চলেছে সরকার। এবার সেই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাঁর কথায়, এসএসসি দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতেই পদক্ষেপ। এখন নতুন ইস্যু তৈরি করা হচ্ছে। রাজ্যপালের অধিকার খর্ব করার বিষয়ে নথি এলে আমি দেখব। সরকার কি বলছে তাতে আমি ভাবিত নই।
আরও পড়ুনঃ ২২ যাত্রী নিয়ে মাঝ আকাশে হঠাৎই হারিয়ে গেল নেপালের বিমান, বিমানে ৪ ভারতীয় ছিলেন
রবিবার শিলিগুড়িতে উপস্থিত হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি বলেন, যদি রাজ্যপালের অধিকার খর্ব করার বিষয়ে কোনও নথি আমার কাছে আসে তাহলে আমি তা খতিয়ে দেখব। এর আগে গত বছর ডিসেম্বর মাসেও একই প্রস্তাব আনা হয়েছিল। আমার কাছে নথি আসার আগে সরকার কি বলছে তাতে আমি ভাবিত নই। যদি এধরনের কিছু নথি আসে তাহলে সাংবিধানিক রীতি মেনে আমার যা করার আমি তাই করব।
তিনি আরও বলেন, আসলে নিয়োগ দুর্নীতি হাজার হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যত নষ্ট হয়েছে। সেই বিতর্ক থেকে নজর ঘোরাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আচার্য বিতর্কে রাজ্যপালের বিস্ফোরক মন্তব্য রাজনৈতিক জল্পনা বাড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কেবিনেট বৈঠকের আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীসভায় সেই প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এবার বিধানসভায় বিল আনতে চলেছে সরকার। তখন থেকেই রাজ্য এবং রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাত বাড়তে শুরু করেছিল।
একইসঙ্গে নবান্ন সূত্রে খবর, বেসরকারি কলেজগুলির ভিজিটর পদ থেকে এবার রাজ্যপালকে সরিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এই সিদ্ধান্ত যে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাতে ঘৃতাহুতি দিয়েছে এবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এতদিন ধরে বিভিন্ন মহলে এবিষয়ে আলোচনা হলেও চুপ ছিলেন রাজ্যপাল। রবিবার অবশেষে মুখ খুললেন তিনি।
এসএসসি দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতেই পদক্ষেপ, বিস্ফোরক রাজ্যপাল
এবিষয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, রাজ্যপাল বরাবরই অবান্তর কথা বলেন। তিনি বললেন রাজ্য সরকার কি বলছে আমি ভাবিত নই। রাজ্যপাল যেখানে একজন মনোনিত পদ। যার কোনও নির্বাচিত মর্যাদা নেই, তিনি এধরনের মন্তব্য করছেন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি বিষয়ে আদালতের নির্দেশে তদন্ত হচ্ছে। এওতদিন ধরে তিনি আচার্য পদে ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কোনও ফাইল পাঠানো হলে সেই ফাইল দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। রাজ্যপাল শিক্ষার পদে থাকার অযোগ্য। নির্বাচিত সরকারের মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করে রাজ্য সরকার ঠিক কাজ করছে।