নজরবন্দি ব্যুরোঃ লক্ষ্য শিক্ষা-স্বাস্থ্য-শক্তি, ৮ বছর ধরে মানুষের যত্ন নিচ্ছে ‘প্রযত্ন ফাউন্ডেশন’। আফ্রিকার প্রবাদ আছে, আপনি যদি দ্রুত যেতে চান,আপনি যদি অনেক দূরে যেতে চান ,তাহলে একসঙ্গে যান। আর এই দর্শনকে সামনে রেখেই ৮ বছর আগে প্রযত্ন ফাউন্ডেশনের আত্মপ্রকাশ হয়। বিভিন্ন পেশার কয়েকজন সুপ্রিতিষ্ঠিত বন্ধু একসঙ্গে মিলে পথ চলা শুরু করেন,তাঁরাই পরবর্তীতে সমাজে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনেন।
আরও পড়ুনঃ জ্বালানি তেল অগ্নিমূল্য! রাজ্যে ছুটবে সিএনজি চালিত বাস। জানালেন ফিরহাদ।
যার মূল ফোকাস ছিল শিক্ষা-স্বাস্থ্য-শক্তি। প্রযত্ন বছরের পর বছর হাজার হাজার জীবনে ছাপ ফেলেছ, স্কুলের মাধ্যমে জীবনযাত্রার উন্নতি ঘটিয়েছে। প্রান্তিক মানুষদের জন্য বহুবর্ষ ব্যাপী প্রকল্প রূপায়ণ সোনালী ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করতে চায়। সেই লক্ষ্যে মিলিন্দ সোমানের এনজিও-র সঙ্গে বহুবিধ যৌথ প্রকল্পও নেওয়া হয়েছে।পিনকথন সংগঠনের সঙ্গে সমম্বয় গড়েই কাজ চলছে। যখন কোভিড-১৯ বিশ্বে ধাক্কা দেয় তখন প্রযত্নও চ্যালেঞ্জ নেয়।
টিম প্রযত্ন একেবারে সর্বনিম্ন স্তরের উপার্জনশালী মানুষদের চিহ্নিত করে কাজ করতে শুরু করেছে। কোভিড কালে যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য তাত্ক্ষণিক ভিত্তিতে খাবারও ওষুধ জোগানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অক্সিজেন কনসেনটেটর, সিলিন্ডার,মেডিক্যাল সরঞ্জাম প্রদানের ব্যবস্থা হয়েছে। গতমাসে বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সঙ্গে যুক্ত রোগীদের মধ্যে ইতিমধ্যে অক্সিজেন কনসেনটটর দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিগত ২বছর ধরে সুন্দরবনও বর্ধমানের গ্রামীন এলাকায় দুর্যোগদীর্ণ মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিলির কাজও যুদ্ধকালীন তত্পরতার সঙ্গে করছে। নকশাল প্রভাবিত এলাকাতেও প্রযত্ন ফাউন্ডেশন কল্যাণমূলক কাজে যুক্ত। স্কুলে ডিজিটাল বিপ্লবের লক্ষ্যেই সমস্ত এলাকায় কম্পিউটার ট্রেনিংও প্রদান করা হচ্ছে।
প্রযত্ন ফাউন্ডেশন ২০১৩তে প্রতিষ্ঠিত হয়। বি্ষ্ণু কে বাজাজ, বিক্রম আগরওয়াল, রাহুল শেঠি, বিকাশ ডোকানিয়া, সঞ্জয় কুন্দালিয়া এবং অজয় শর্মা সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই সংগঠনের জন্ম দেন। পরামর্শদাতা হিসেবে ছিলেন অলোক জৈন এবং রাহুল মোহতা। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা বেশিরভাগই অনাবাসী ভারতীয়। এখন এই প্রযত্ন গ্রুপকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সুপার স্মেলটরস লিমিটেড,আধুনিক গ্রুপ,আইওন এক্সচেঞ্জ,আদ্য ডায়েরীর মতো প্রখ্যাত সংস্থাও।
লক্ষ্য শিক্ষা-স্বাস্থ্য-শক্তি, ৮বছর ধরে মানুষের যত্ন নিচ্ছে ‘প্রযত্ন ফাউন্ডেশন’। অন্যান্যদের মধ্যে সংগঠনগত দিক থেকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কলকাতা মিডটাউন রাউন্ড টেবিল ১১৩,কলকাতা রাউন্ড টেবিল -৪, বিএনআই তাজের মতো সংস্থাও। সমস্ত কার্যকলাপকে সমর্থন করে কোর টিম স্নেহা আগরওয়াল,অর্চনা রায়, ঋষি মাহেশ্বরী, রশমী বাজাজ, আকানচা দিওয়ান, রাহুল আগরওয়াল, চিরাগ চালানি, অভিষেক মুন্কা, জৈন,স্বাগত বোস, অক্ষয় বিনজারাজকা, বিক্রম সরফ, দীপক আগরওয়াল, ঋতেশ কয়াল, বীনিতা মিশ্র, বিমল নারনোলিয়া। গত বছর থেকে এখনো পর্যন্ত একাধিক কাজের পাশাপাশি করোনা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রযত্ন ফাউন্ডেশন।