নজরবন্দি ব্যুরো: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভ্যাকসিন ছাড়া করোনা রোধ করা যাবে বলে জানিয়েছেন বিশ্বের সমগ্র দেশগুলিতে। হু এর ইউরোপের এক ডিরেক্টর এর মতে, ” জাতীয় পর্যায়ে লকডাউন গুলি সফল হয়নি সেভাবে। তবে যেসব জায়গায় সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে, সেখানে লকডাউন এর খুব প্রয়োজন। এসব জায়গায় স্থানীয়ভাবে লকডাউন চালাতে হবে।” অপরদিকে ইতালির বিজ্ঞানীরা বলেন, ” করুণায় আক্রান্ত কোন ব্যক্তির এই ভাইরাসের প্রকোপ থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে সময় লাগছে কমপক্ষে এক মাস।”
আরও পড়ুনঃ দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ লক্ষ পেরল!
WHO এর অন্তর্ভুক্ত ইউরোপের রিজওনাল ডিরেক্টর স্কাই, হান্ম ক্লুল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,” অতি মহামারীর এই কঠিন সময় কাটাচ্ছি আমরা। টিকা ছাড়াও এর থেকে মুক্তি সম্ভব। আমরা করোনার প্রথম স্পাইক মোটের ওপর কাটিয়েছি।আমরা তখনই এটি অতিক্রম করতে সক্ষম হব যখন আমরা অতি মহামারী নিয়েই বাঁচতে শিখব এবং এটা আমরা করতে পারি।” তার বক্তব্য থেকে প্রশ্ন উঠে আসছে, যে করোনা সংক্রমনের পরবর্তী পর্যায়ে এড়াতে আগামীদিনেও কি আবারও কয়েক মাসের জন্য সম্পূর্ণ লকডাউন জনসাধারণের উপর চাপাতে পারে? উত্তরে তিনি জানান, কোন প্রয়োজন নেই বড় কোন লোক ডাউনের।তবে ছোট ছোট স্থানীয় লোক ডাউনের সম্ভাবনা তিনি একেবারেই এড়িয়ে যান নি।
স্থানীয় পর্যায়ে ছোট ছোট লকডাউন করে করুণা ভাইরাসের মহামারী করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অর্থাৎ দেশজুড়ে বড় আকারে লকডাউন না করে স্থানীয় লকডাউন এর পক্ষে ই মত WHO এর।এভাবে করুণা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রোধ করা যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইতালির বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যে কোনও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগে এক মাস। অতএব করোনা ভাইরাস ধরা পড়ার একমাস পরে আবার পরীক্ষা করা উচিত। কারণ ইতালির রেজিও এমিলা বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডনার ড: ফ্রান্সিস্কো ভেনচুয়েলি ও তার সহকর্মীরা ১১৬২ জন করোনা রোগীকে নিয়ে গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে আসেন।
এই গবেষণায় ব্যক্তিদের করণা সংক্রমণ পজিটিভ আসার পর দ্বিতীয়বারের জন্য পরীক্ষা করা হয়েছিল ১৫ দিন পর। ১৪ দিন পর তৃতীয় বার এবং ৯ দিন পরে চতুর্থবার পরীক্ষা করে দেখা যায়, যাদের রিপোর্টে করোনাভাইরাস নেগেটিভ এসেছিল তাদের অনেকেরই আবার পজেটিভ রিপোর্ট আসে। সমীক্ষা অনুসারে জানা যায়, ৫০ বছর বয়সী পর্যন্ত ব্যক্তিদের করোনা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পেতে সময় লাগে ৩৫ দিন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের করোনা ভাইরাস থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে সময় লাগে ৩৮ দিন।