নজরবন্দি ব্যুরোঃ বিধানসভায় বিরোধী দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে! চমকে ওঠার মত বিষয় হলেও সূত্রের দাবি এমনটাই। আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পরপর দুইবার নির্বাচিত বিধায়ক মনোজবাবুকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছে বিজেপি। বিধানসভায় বিরোধী দলের মুখ্য সচেতক তিনি। কিন্তু সেই মনোজ টিগ্গা কিনা যোগ দেবেন তৃণমূলে? সপ্তাহের শুরুতেই চমক দেখা যেতে পারে বঙ্গ রাজনীতিতে।
আরও পড়ুনঃ বিজেপিতে দমবন্ধ হয়ে আসছে, দিদির আশির্বাদ নিয়ে সপ্তাহের শুরুতেই তৃণমূলে রাজীব!
এই সপ্তাহের শুরুতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুপম হাজরার মত একাধিক দলছুট নেতা। সূত্রের দাবি, ২৫ জনের তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তৃণমূলে ফেরার পরই গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ সেরে ফেলেছেন মুকুল রায়। সেখানেই চূড়ান্ত হয়েছে সিদ্ধান্ত। জানা গিয়েছে শুধু প্রাক্তন তৃণমূল নেতারাই নন। তালিকায় নাম আছে একাধিক আদি বিজেপি নেতার নামও। যার মধ্যে উল্লেকযোগ্য হলেন মনোজ টিগ্গা!
তবে মোট ৩৫ জনের তালিকা নিয়ে চর্চা চলছে। সূত্রের খবর, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ৩৫ জনের তালিকা তুলে দিয়েছেন মুকুল রায়। সূত্র বলছে, তালিকায় ৮ বিধায়ক দুই সাংসদ ছাড়াও ২৫ জন বিজেপি নেতার নাম রয়েছে। যাঁদের মধ্যে অনেকেই আবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাননি বরং আগে থেকেই বিজেপি করতেন! সূত্রের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমতি দিলে তবেই দলে নেওয়া হবে এই ৩৫ নেতা নেত্রীকে! তালিকায় নাম রয়েছে একাধিক হেভিওয়েট নেতার।
মুকুলের পেছনে যখন লাইন দিচ্ছেন একাধিক নেতারা তখন প্রাক্তন সহকর্মীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, “BJP মহাসাগরের মতো। সেখান থেকে কয়েকবিন্দু জল চলে গেলে কোনও সমস্যা হবে না। কোটি কোটি মানুষ দল করে। তাঁদের নীতি আদর্শ রয়েছে।” এই বক্তব্যের পাশাপাশি একটি ট্যুইট করেছেন দিলীপ ঘোষ। যেখানে বলা হয়েছে, ‘জীর্ণ পাতা গাছের কোনও কাজে আসে না। জীর্ণ পাতা ঝরে গেলে কোনও ক্ষতি হয় না। বরং গাছ নতুন পাতায় ভরে ওঠে। নবজীবন লাভ করে গাছ।’ ট্যুইটারের পোস্টে কোথাও মুকুল রায়ের নাম উল্লেখ করেননি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু তাঁর এই পোস্ট যে মুকুল রায়কে ইঙ্গিত করে তা নিয়ে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।