ল্যাজেগোবরে অবস্থা বঙ্গ বিজেপির পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে
bjp of westbengal decided they impement common minimum progrem

নজরবন্দি ব্যুরো: পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই মনোনয়ন পত্র তোলার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। ৬ দিন, এই অল্প সময়ের মধ্যে মনোনয়ন তুলে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া বেশ দুরহ। তাই একেবারে ল্যাজেগোবরে অবস্থা বঙ্গ বিজেপির পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে।

আরও পড়ুন:Mamata Banerjee: ‘ছবি যেখানে ভালো উঠবে উনি সেখানে যান’, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

ভোট ঘোষণা হতেই বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব কার্যত দিশেহারা, বলা ভাল অপ্রস্তুত। রাজ্যের ৭৪ হাজার পঞ্চায়েত কেন্দ্রে ধরে ধরে যে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব নয়, সেটা ভালমতোই বুঝতে পারছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, যেসব আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হবে না, সেই আসনগুলিতে অন্য বিরোধী দলকে সমর্থনের বার্তা পাঠিয়ে দেওয়া হল জেলাস্তরে।

ল্যাজেগোবরে অবস্থা বঙ্গ বিজেপির পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে
ল্যাজেগোবরে অবস্থা বঙ্গ বিজেপির পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে

গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ভোট ঘোষণা করতেই রাজ্য বিজেপির তরফে জেলাস্তরে একটি নির্দেশিকা পাঠানো  হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শাসকদল যদি হুমকি দেয় তাহলেও যত বেশি সম্ভব আসনে প্রার্থী দিতেই হবে। কীভাবে মনোনয়ন জমা দিতে হবে, কী কী লাগবে, সমস্ত তথ্য জানানো হয়েছে। জেলাস্তরে প্রতীক বিলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা নেতৃত্বের ওপরেই।

Bjp: ল্যাজেগোবরে অবস্থা বঙ্গ বিজেপির পঞ্চায়েত ভোট নিয়েবঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, সব আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব নয়, সেটা ভালই বুজেছে বিজেপি নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, যেখানে বিজেপি প্রার্থী দিতে পারবে না, সেখানে তৃণমূলকে হারাতে অন্য দলের প্রার্থী বা নির্দল প্রার্থীর পাশে দাঁড়াতে বলা হয়েছে জেলা নেতৃত্বকে। অর্থাৎ, তৃণমূলকে হারাতে বাম এবং কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থনে আপত্তি নেই বিজেপির। সূত্রের খবর, দু’এক দিনের মধ্যে রাজ্য নেতৃত্ব বৈঠকে বসবে। সেখানে পরবর্তী বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। নির্দেশিকায় মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে প্রচার, বৈঠক, সভা, দেওয়াল লিখনে জোর দিতে বলা হয়েছে জেলা নেতৃত্বকে। এদিকে ভোট ঘোষণার পরদিনই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।   ‌

ল্যাজেগোবরে অবস্থা বঙ্গ বিজেপির পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে

 ল্যাজেগোবরে অবস্থা বঙ্গ বিজেপির পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে
ল্যাজেগোবরে অবস্থা বঙ্গ বিজেপির পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে

এত দ্রুততার সঙ্গে ভোট ঘোষণা এবং মনোনয়ন পত্র দেওয়ার জন্য এত কম সময় দেওয়ায় রীতিমতো বেকায়দায় পরে গিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবারই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের মৃত্যু হল। সর্বদল বৈঠক নেই, নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আলোচনা নেই, অথচ দিন ঘোষণা হয়ে গেল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার তৃণমূলের আঞ্চলিক শাখার মতো আচরণ করছে।‘ পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ এবং গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য  টুইট করে বলেছেন, ‘মাত্র ৬ দিন ৪ ঘণ্টা করে মনোনয়ন দেওয়ার সময়সীমা। অথচ, মনোনয়ন দিতে হবে প্রায় ৭৪ হাজার আসনে। এর চেয়ে বিনা ভোটে ফলাফল ঘোষণা করে দিতে পারতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।‘ যদিও তৃণমূল বলছে, ভোট হচ্ছে  সঠিক সময়ই। আসলে বিরোধীদের প্রার্থী নেই, সেকারণেই তাঁদের মুখে যত আপত্তি শোনা যাচ্ছে।