নজরবন্দি ব্যুরো: ওড়িশার বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনা গোটা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনায় ওড়িশার প্রতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড় সফর বাতিল করে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার কটক রওনা হয়েছেন। আহতদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি যাবতীয় ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এক ওড়িশা সফরকে ফের কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন: নবান্নের সুপারিশ মেনে নিল রাজ্যপাল, নির্বাচন কমিশনার হতে চলেছেন রাজীব সিনহা
বুধবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওড়িশা সফর নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর কথায়, “উনি মনে মনে চান অ্যাক্সিডেন্ট হোক। উনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীনও যখন যা ঘটেছে, অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিয়েছেন। উনি রক্ত নিয়েই রাজনীতি করেন।” বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দার্জিলিং সফর বাতিল প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বিজেপি সাংসদ বলেন, “ভাইপো উত্তরবঙ্গ গিয়ে দেখে নিয়েছেন ওখানে তৃণমূল উঠে গেছে। ফলে ওখানে গিয়ে ছবি হবে না। তাই যেখানে ছবি ভালো উঠবে সেখানে যান।”

মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওড়িশা সফর নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “এ সবই ড্রামা। কটক কেন? দার্জিলিং গেলেন না কেন! জানা থা জাপান পৌঁছ গ্যয়ে চিন! ক্যায়া মতলাব হোতা হ্যায়!” উঠল বাই কটক যাই।” তিনি আরও দাবি করেছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি তলব করেছে। তাই ভয় পেয়ে সব গুলিয়ে ফেলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২ জুন) ওড়িশার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর এক্সপ্রেস এবং মালগাড়ির সংঘর্ষ হয়। সংঘাতের অভিঘাত এতটাই তীব্র ছিল যে করমণ্ডলের ইঞ্জিন মালগাড়ির উপরে উঠে যায়। লাইনচ্যুত হয় ২১ টি কামরা। যশবন্তপুরের ৩ টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। প্রাণহানি হয় ২৭৫ জন যাত্রীর। আহত হাজার ছুঁই ছুঁই। ওড়িশার হাসপাতালগুলিতে সারি সারি সাজানো মৃতদেহ। এখনও বহু মৃতদেহের শনাক্তকরণ বাকি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, করমণ্ডল দুর্ঘটনায় বাংলার ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার নিহতদের পরিবারের হাতে আর্থিক ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হবে।
‘ছবি যেখানে ভালো উঠবে উনি সেখানে যান’, মুখ্যমন্ত্রীকে বেনজির আক্রমণ দিলীপের
