নজরবন্দি ব্যুরোঃ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বহু তৃণমূল নেতা দল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। মানুষের জন্যে কাজ করার তাগিদে তাঁরা ছেড়েছিলেন পুরোনো দল। তবে বিধানসভা নির্বাচনের ফলই বদলে দিয়েছে মানুষের জন্যে কাজ করার তাগিদ, রাস্তা। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া নেতা নেত্রীরা ফিরে আসছেন পুরানো দলে। একই সঙ্গে বহু বিজেপি নেতা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে।
আরও পড়ুনঃ ভবানীপুর উপনির্বাচন ঘিরে জটিলতা, ‘সাংবিধানিক সঙ্কট’ প্রশ্নে হলফনামা চাইল আদালত।
মুকুল রায় থেকে একাধিক বিধায়কের তৃণমূল যোগের পর তালিকার শেষ সংযোজন বাবুল সুপ্রিয়। যা নিয়ে এক প্রকার তোলপাড় হয়েছে রাজনীতির অলিন্দ। তৃণমুলের তরফ থেকে ২১-এর জয়ের পর থেকেই বারবার বলা হয়েছে তালিকায় আছেন বহু বিজেপি নেতা-বিধায়ক। একে একে আসবেন তাঁরা শাসক দলে। অপেক্ষা শুধু মমতার গ্রিণ সিগন্যালের। কুণাল ঘোষ তো একধাপ এগিয়ে বলেছে ২৪ জন বিধায়কের কথা।
এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বদল করেছে তাঁর রাজ্য সভাপতির। দিলীপের বদলে এখন মসনদে সুকান্ত। এদিকে মাথায় ভবানীপুর উপনির্বাচনের চাপ নিয়ে এদিন ফিরহাদ হাকিম বিজেপির রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছেন কয়েকগুন। এদিন তিনি মন্তব্য করেছেন, “কয়েকদিন বাদে এমন একটা নাম আসবে, চিন্তা করতে পারবেন না। বিজেপি থেকেই তিনি আসবেন তৃণমূলে।” এদিকে ফিরহাদের মন্তব্যে কার্যত শিলমোহর সুকান্তর!
সবাই ভেবেছিল ফিরহাদের কথা উড়িয়ে দেবে বিজেপি। কিন্তু রাজ্য সভাপতির মন্তব্যে ববি হাকিমের মন্তব্যকে উড়িয়ে দেওয়ার কোন চেষ্টা দেখা গেলনা। ফিরহাদের মন্তব্যে কার্যত শিলমোহর দিলেন সুকান্ত মজুমদার। এদিন ফরহাদ হাকিমের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মন্তব্য করেন, ‘যারা নীতি-আদর্শের ভিত্তিতে বিজেপি করেন, তারা কেউ দল ছেড়ে যাবেন না। সেই বিষয়ে আমি নিশ্চিত। তবু, যাদের সমস্যা হচ্ছে, তাঁদের বলব যে কোনও রাগ-ক্ষোভ থাকলে আসুন, আলোচনা করুন দলের মধ্যে। আমি মনে করি, আলোচনার মাধ্যমে সব করা সম্ভব। একসাথে লড়াই করব সবাই। আর এই সরকারকে উৎখাত করা শুধু সময়ের অপেক্ষা।’
ফিরহাদের মন্তব্যে কার্যত শিলমোহর সুকান্তর, দল ছাড়তে চলেছেন কে?
ফিরহাদ মুখে কিছু না বললেও, সূত্রের দাবি এই ‘বড় নেতা’ হলেন শুভেন্দুর অধিকারীর গড় পূর্ব মেদিনীপুর ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা। তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। কয়েক ঘণ্টা আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি অশোক দিন্দা যোগ দিতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সেই খবর পেয়েই তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত।