নজরবন্দি ব্যুরোঃ ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন, লড়ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতে মাত্র ৬ দিন বাকি। ঠিক তখনই ভবানীপুর উপনির্বাচন ঘিরে জটিলতা তৈরী হল। এই উপনির্বাচন ঘিরে রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিবৃতি যার অন্যতম কারন। তাঁর বিবৃতি তুলে ধরে কমিশন প্রেস বিবৃতিতে লিখেছিল, এই ভোট না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরী হবে বলেছেন মুখ্যসচিব। এই নিয়েই শুরু হয়েছে জটিলতা।
আরও পড়ুনঃ BJP ভাবতেও পারবেনা কে আসছেন তৃণমূলে, সারপ্রাইজের আগে জল্পনা বাড়াচ্ছেন ফিরহাদ
ভবানীপুরের উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে একটি প্রেস বিবৃতি রিলিজ করা হয়ে। যার ছ’ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন, রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি কোনও ভাবেই ভোটের কেন্দ্রে প্রভাব ফেলবে না। একইসঙ্গে তিনি তুলে ধরেছেন, ভারতীয় সংবিধানের ১৬৪ (৪) ধারায় একজন মন্ত্রী যদি বিধানসভার সদস্য না হন তা হলে ভোটের ফল প্রকাশের ছ’মাসের মধ্যে তাঁর মন্ত্রিত্ব চলে যায়। সেই পদে সর্বোচ্চ পদাধিকারী নিয়োগ না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে।’
এই ছ’ নম্বর অনুচ্ছেদের অংশটিকে হাতিয়ার করে আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের দ্বারস্থ হন। মামলাকারী জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী আসলে মুখ্যসচিবকে ব্যবহার করেছেন ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন চেয়ে। মুখ্যসচিব শুধু একটি কেন্দ্রের জন্য চিঠি লেখেন কমিশনকে।” তাঁর দাবি, মুখ্যসচিব নির্দিষ্ট একজনকে জেতাতে চাইছেন। সায়ন বাবুর প্রশ্ন, কেন রাজ্যের মুখ্যসচিব কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রের জন্যই ভোট চাইলেন? মুখ্যসচিবের কি সেই এক্তিয়ার রয়েছে?
ভবানীপুর উপনির্বাচন ঘিরে জটিলতা
এই মামলা প্রসঙ্গে দুঁদে আইনজীবী তথা সিপিআইএম সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য কদিন আগে বলেছিলেন, “কে এই বুদ্ধি দিল, এক ব্যক্তি ভোটে না লড়লে সাংবিধানিক সংকট হবে?” তিনি আরও যোগ করেন, “মুখ্যসচিব বললেন, আর নির্বাচন কমিশন তা গ্রহণ করল। আমার এক জুনিয়র আইনজীবী মামলা করেছেন। ওই মামলায় আমি সওয়াল করব।” উল্লেখ্য, আজ সেই মামলার স্বয়াল জবাব শেষে ভবানীপুর উপনির্বাচন ঘিরে জটিলতা তৈরী হয়। আদালত কমিশন কে নির্দেশ দেয় ২৪ ঘন্টার মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার জন্যে।