নজরবন্দি ব্যুরোঃ এবার কে? অর্থাৎ ভোটের আগে যেমন টা হচ্ছিল ভোটের পরে ঠিক তেমনটাই। শুধু বদলে গেছে দলের ঠিকানা। বিধানসভা নির্বাচন ২০২১ এর আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়ার ধুম পড়েছিল। এখন হচ্ছে ঠিক উলটোটাই। বালির বাঁধের মর ধসে পড়ছে বঙ্গ বিজেপি। একের পর এক বিজেপি বিধায়ক, সাংসদ, নেতারা দল ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। এবার জানা গেল বাবুলের পথে অশোক দিন্দা সহ ১ সাংসদ এবং ১ প্রাক্তন বিধায়ক হাঁটতে চলেছেন।
আরো পড়ুনঃ নেতা মন্ত্রীদের চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল নিয়ম মেনে, বিধানসভার অধ্যক্ষ কে চিঠি ইডির।
এই তিন জনের মধ্যে অন্যতম শুভেন্দুর অধিকারীর গড় পূর্ব মেদিনীপুর ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা। তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। কয়েক ঘণ্টা আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি অশোক দিন্দা যোগ দিতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সেই খবর পেয়েই তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডল এবং শান্তিপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যরও। সুনীল অবশ্য ভোটের গতিপ্রকৃতির সাথে নিজেকে ‘অ্যাডযাস্ট’ করে নিয়েছেন। ইদানিং তো আকাশ থেকে পড়ছেন এটা ভেবে যে তিনি তৃণমূল ছাড়েননি কোনোদিন। যদিও ব্যাপারটা সেইরকম নয় তা জানে রাজনৈতিক মহল। কিন্তু তাঁর নিস্পাপ সরল সাদাসিধে মন্তব্য দাগ কাতছে মানুষের মনে!
বাবুলের পথে অশোক দিন্দা, ১ সাংসদ, ১ নেতা!
অন্যদিকে শান্তিপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অরিন্দম তৃণমূল ছেড়েছিলেন চলতি বছরের শুরুতেই। ভালভাবেই মানিয়ে নিয়েছিলেন পদ্ম শিবিতে। কিন্তু আশাহর হন ভোটের রেজাল্ট বেরোনোর পর। বিজেপির ভরাডুবির সাথে সাথে নিজেরও ভরাডুবি হয় তাঁর। একদা তৃণমূলে দমবন্ধ হয়ে আসা নেতারা এখন খুব একটা অক্সিজেন পাচ্ছেন না বিজেপিতে। তাই প্রতীক্ষা করছেন, কবে সদয় হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!!