নজরবন্দি ব্যুরোঃ অভিযোগের তদন্তে মন্ত্রী – জনপ্রতিনিধিদের তলব করে থাকে সিবিআই, ইডি-র মতো সংস্থা। কিন্তু বিরল নজির গড়ে ওই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তলব করেছিলেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার গরিমা নষ্ট করেছে কেন্দ্রীয় দুই গোয়েন্দা সংস্থা, এই অভিযোগ সামনে রেখে দুই সংস্থার আধিকারিকদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিমান। কিন্ত এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে পাল্টা চিঠি দেওয়া হল তাঁকে।
আর পড়ুনঃ কয়লা কান্ডে জোর ধাক্কা অভিষেকের, ইডির সমনে স্থগিতাদেশ দিলনা দিল্লি হাইকোর্ট
নেতা মন্ত্রীদের চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল নিয়ম মেনে, একথা জানিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কে পাল্টা চিঠি দিল ইডি। চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজ্যপালের অনুমতি নিয়েই ৩ মন্ত্রী-বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল। বিধানসভার কোনও অসম্মান করা হয়নি। সূত্রের খবর, ইডির চিঠি পেয়ে পাল্টা বিধানসভার অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমার প্রত্যাশা কাল আসবেন ইডি-সিবিআইয়ের ২ অফিসার। নির্ধারিত সময়েই বিধানসভায় হাজির হবেন ২ অফিসার’ ।
নেতা মন্ত্রীদের চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল নিয়ম মেনে, বিধানসভার অধ্যক্ষ কে চিঠি ইডির।
ঘটনা হল নারদ কাণ্ডে ৫ জনের নামে চার্জশিট জমা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। নাম রয়েছে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রেরও। সেই সূত্রেই ইডি-র বিশেষ আদালত তাঁদের নামে সমনও জারি করে। সেই সমন স্পিকারের মাধ্যমে অভিযুক্তদের কাছে পৌঁছতে পাঠানো হয় বিধানসভায়।
কিন্তু সমন পৌঁছনোর দায়িত্ব বিধাসনভার নয়, জানিয়ে তা অভিযুক্তদের কাছে পাঠাতে অস্বীকার করেন স্পিকার। বিধানসভা সূত্রে খবর, চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে যে আইন তা ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে! সেই প্রেক্ষিতেই এই দুই তদন্তকারী সংস্থা, ইডি এবং সিবিআইয়ের ২ কর্তাকে তলব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।