নজরবন্দি ব্যুরো: নতুন পদ পেলে শতাব্দী রায়। রবিবার তাঁকে তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতির পদ দেওয়া হল। কিছুদিন আগেই দলের বিরুদ্ধে বেসুর হয়েছিলেন, শতাব্দী রায়। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে শতাব্দী রায়ের ফ্যান পেজে একটি পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছিল জল্পনা।
আরও পড়ুনঃ মাঘের শুরুতে জাঁকিয়ে শীত, উত্তুরে হাওয়ায় কাঁপছে বঙ্গবাসী
পোস্টের এক জায়গায় লেখাছিল, “বহু কর্মসূচির খবর আমাকে দেওয়া হয় না। না জানলে আমি যাব কী করে? এ নিয়ে আমার মানসিক কষ্ট হয়”। এরপরই আবার নতুন পোস্টে লেখা হয়েছে, “নতুন বছরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছি, যাতে আপনাদের সঙ্গে পুরোপুরি থাকতে পারি…যদি কোনও সিদ্ধান্ত নিই, শনিবার দুপুর ২টোয় জানাব”।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বোলপুরে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলে শতাব্দী রায়কে দেখা গিয়েছিল। সেই মিছিলের কয়েকদিনের মাথায় শতাব্দীর এহেন ‘সুর বদল’ ঘিরে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে সরগরম হয় বঙ্গ রাজনীতিতে। আর তারপরেই আগেই এই বিষয়ে তাঁর বাড়ি গিয়ে কথা বলেছিলেন কুণাল ঘোষ। শুক্রবার সন্ধ্যে সাড়ে ছটা নাগাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদকে নিয়ে পৌঁছান কুণাল ঘোষ। তারপরই প্রায় ৩০ মিনিট আলোচনার পর সাংবাদিক সামনে এসে তিনও বলেন, তিনি এই মুহূর্তে আর দিল্লি যাবেন না এবং এদিন তিনি এও বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি তাঁর অসুবিধের কথা জানান। ফলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, তাঁকে দলে রাখতেই নতুন পদ দেওয়া হলো শতাব্দী রায়কে।