নজরবন্দি ব্যুরোঃ রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বারে বারে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। তার কথায়, রাজ্যে ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবারই একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে পাল্টা রাজ্যপালকে নিশানা করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তৃণমূল নেতার দাবি, রাজভবনটা নাটক করার জায়গা নয়। ক্ষমতা থাকলে রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারির সুপারিশ করুন। রাজ্যপাল এদিন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পুলিস-প্রশাসনের রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে সরব হন মমতা সরকারের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুনঃ কলকাতার ৩ হাসপাতালে শুরু হল কোভ্যাকসিনের টিকাকরণ।
এদিন রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যের বিরুদ্ধে আমি যেসব ইস্যু তুলে ধরেছি তা লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বাংলায় একটা ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। একথা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না। সমাজের যেকোনও স্তরের মানুষের মধ্যে ভয় রয়েছে। রাজ্যের পরিস্থিতি জরুরি অবস্থার মতে বলেই আমার মনে হয়েছে। রাজ্যের সরকারি কর্মীদের আমি বলি, আপনি সরকারি কর্মচারী হয়ে রাজনৈতিক নেতার মতো আচরণ করবেন না। এটা আপনার কাজ নয়। এভাবে আপনারা গণতন্ত্রের উপরে কুঠারাঘাত করতে পারেন না। রাজ্যে জরুরি অবস্থার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সরকারি কর্মীরা রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট। রাজ্যপালের এমন মন্তব্য নিয়ে বিরোধী নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা তো ভয়ের বাতাবরণেই রয়েছি। কোনও সরকারি অফিসার ফোনে মুখ খুলতে চান না।
খুব কম অফিসার রয়েছেন যাঁরা ফোন ধরেন। এখানে বিরোধী দলের নেতাকে পর্যন্ত হেনস্থা করা হয়। পুলিস প্রশাসন নির্বিকার। শাসক দলের লোকজন চোখ রাঙিয়ে কথা বলেন। এটা জরুরি অবস্থা নয় তো কি? বিধানসভা অধিবেশন ঠিকমতে হচ্ছে না। বাজেট পাসের জন্য একটা সময় দেওয়া হয় শুধুমাত্র। পৌরসভা নির্বাচন হচ্ছে না, পঞ্চায়েত উপনির্বাচন বন্ধ রয়েছে। এটা তো জরুরি অবস্থারই সমান। গণতান্ত্রিক পরিবেশ এ রাজ্যে নেই।