নজরবন্দি ব্যুরোঃ এখনও মাস্কে অনীহা দেশের ৫০ শতাংশ মানুষের, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্টে ভয়ঙ্কর তথ্য।করোনার মারণ কামড়ে কাবু গোটা দেশ। সংক্রমণ কিছুটা কমে এলেও লড়াই যে এখনও চলবে তা মানছেন সকলেই। এমন অবস্থায় সংক্রমণ রুখতে প্রধান অস্ত্র যথাযথ মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ববিধি পালন। দেশে দ্বিতীয় ঢেউ আসার জন্য চিকিৎসামহল দেশের মানুষের এই দুটি জিনিষের প্রতি অনীহাকেই দায়ী করেছেন।
আরও পড়ুনঃ বিপাকে মহাগুরু, ফিল্মি সংলাপে উস্কানির অভিযোগ নিয়ে রিপোর্ট তলব আদালতের।
এদিকে বিশ্বের সবথেকে ভয়ঙ্কর করোনা ঢেউ আছড়ে পড়েছে ভারতে। চরম সংকটজনক এই পরিস্থিতিতেও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট ভয় ধরাচ্ছে দেশের চিকিৎসামহলকে। সাধারণ মানুষের মাস্ক পরার সচেতনতা নিয়ে দেশের ২০ টি কেন্দ্রে করা এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে দেশের ৫০ শতাংশ মানুষ এই চরম সংকটজনক পরিস্থিতিতেও মাস্ক পরেন না। বাকি ৫০ শতাংশের মধ্যেও রয়েছে আমূল বৈচিত্র্য। মাস্ক পরা ৫০ শতাংশের ৬৪ শতাংশ মানুষ যথাযথভাবে মাস্ক পরেন না। তাদের ক্ষেত্রে নাক খোলা থাকে যা করোনার প্রধান প্রবেশদ্বার। এছাড়াও ২০ শতাংশের মাস্ক থাকে থুতনির নীচে। যা না পরারই সমান। পরিসংখ্যান বলছে মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ যথাযথভাবে মাস্ক পরিধান করেন।
যথাযথ ভাবে নাক, মুখ, থুতনি ঢেকে বাড়ির বাইরে বের হন তাঁরা। চরম পরিস্থিতিতেও দেশের মানুষের এই দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ভাবাচ্ছে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রককে। এই বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল জানান, দেশের আটটি রাজ্যে ১ লক্ষের বেশি অ্যাকটিভ কেস রয়েছে। ৯টি রাজ্যে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ অ্যাকটিভ কেস রয়েছে। ১৯টি রাজ্যে ৫০ হাজারের কম অ্যাকটিভ কেস রয়েছে। ফেব্রুয়ারির পর থেকেই এ দেশের করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। গত কয়েক সপ্তাহে পরীক্ষাও বেড়েছে। পজিটিভ রোগীর সংখ্যাও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।
এখনও মাস্কে অনীহা দেশের ৫০ শতাংশ মানুষের, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্টে ভয়ঙ্কর তথ্য। এরইমধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এ দেশে ৫০ শতাংশ মানুষ এখনও মাস্ক পরেন না। এই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে চিকিৎসামহল জানাচ্ছে দেশের মানুষ দ্রুত এই ব্যাপারে সতর্ক না হলে আগামীদিনে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে আরও ভয়ঙ্কর চিত্রের সাক্ষী হবে গোটা দেশ।