নজরবন্দি ব্যুরোঃ ১ এপ্রিল শক্তিগড়ে একটি দোকানের সামনে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়ে বিজেপি নেতা রাজু ঝাকে। সেই ঘটনার ১৯ দিনের মাথায় রাজু ঝার খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, দূর্গাপুর থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তির নাম অভিজিৎ মণ্ডল। তিনি পানাগড়ের বাসিন্দা।
শক্তিগড়ের শ্যুট আউটের ঘটনাকে ঘিরে এখনও উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। যেভাবে সন্ধ্যেবেলায় শক্তিগড়ের মতো জায়গায় খুন করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে সিটের নেতৃত্বে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনের নেতৃত্বে ১২ জনের নেতৃত্বে এই সিট গঠন করা হয়েছে। ঘটনার দিনে রাজু ঝার সঙ্গে থাকা আবদুল লতিফকে তলব করা হয়েছে।
রাজু ঝার খুনের ঘটনায় শুধুমাত্র আবদুল লতিফ নয়, সমন পাঠানো হয়েছে দুর্গাপুরের বাসিন্দা লোকেশ সিং, রীতেশ সিং, সায়নদের। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের তিনজন, ঝাড়খণ্ডের ২ জন কয়লা মাফিয়াকেও ডেকে পাঠিয়েছে সিট। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৬০ সিআরপিসি অনুযায়ী সমন পাঠানো হচ্ছে। রাজু ঝা খুনে ভিন রাজ্যের মাফিয়া গ্যাংয়ের যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। এমনকি ভিন রাজ্যে বসে তাঁকে খুনের ছক কষা হত। এমনটাও অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যে সাড়ে ৭ টা নাগাদ একটি সাদা ফরচুনার শক্তিগড়ে এক নামী ল্যাংচার দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায়। সেই গাড়িতেই সামনের সিটে বসেছিলেন রাজু। হঠাৎই পাশে এসে দাঁড়ায় একটি নীল রঙের ব্যালেনো। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পরপর গুলি চালানো হয় রাজুকে লক্ষ্য করে। একেবারে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় তাঁর শরীর। হাতে গুলি লেগে আহত হন তাঁর সঙ্গী ব্রতীন মুখোপাধ্যায়ও। এরপর রাতেই গুলিবিদ্ধ ব্রতীন মুখোপাধ্যায়কে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
রাজু ঝার খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার, বিরাট সাফল্য পুলিশের
পুলিশ সূত্রে খবর, গরু পাচারে অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল ঘনিষ্ঠ আবদুল লতিফের সাদা বিলাসবহুল ফরচুনা গাড়িতে যাচ্ছিলেন কয়লা মাফিয়া রাজু। মাঝপথে তার পথ আটকায় একটা নীল গাড়ি। জানা যাচ্ছে, ওই নীল গাড়িতেই ছিল আততায়ীরা। বারবার নম্বর বদলের পাশাপাশি রুট বদল করেন আততায়ীরা। জাতীয় সড়কের ধারে শক্তিগড় রেল স্টেশনের কাছাকাছি জায়গায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে চলে যায়।