নজরবন্দি ব্যুরোঃ ভোটে লড়বেন অভিনেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হচ্ছেন তিনিই। বিজেপি সূত্রে খবর মোহন ভগবতই মধ্যস্ততা করেন মিঠুন এবং বিজেপির মধ্যে। মিঠুন শুরুতে ভোটে লড়তে না চাইলেও অবশেষে গতকাল রাতে সিদ্ধান্ত হয় তিনি ভোটে লড়বেন কলকাতার একটি কেন্দ্র থেকে। কিন্তু বাদ সেধেছে তাঁর ভোটার কার্ড। নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারলে ভোটে লড়তে পারবেন না তিনি। তাই মহারাষ্ট্রের ভোটার লিস্ট থেকে নিজের নাম কাটিয়ে রাজ্যের ভোটার লিস্টে নাম নথিভূক্ত করতে তড়িঘড়ি মুম্বাই পাড়ি দিয়েছেন মিঠুন।
আরও পড়ুনঃ দিদি বলতে নেচেছেন, কত কি করেছেন কিন্তু মন্ত্রীত্ব পাননি! মানুষের সেবা করতে তাই পদ্মবনে দেবশ্রী।
উল্লেখ্য, অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির সুরক্ষা পান। বিজেপি-তে যোগদানের দু’দিন পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এই সুরক্ষা দেওয়া হল তাঁকে। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (সিআইএসএফ)। অনেকদিন ধরেই প্রশ্ন উঠছে বিজেপির মুখ কে?। অন্যদিকে শুরু থেকেই অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, অন্যকেউ নন ; বাংলার ভূমিপুত্রই বিজেপির মুখ হতে চলেছে। তবে সে কে তা স্পষ্ট করেনি বিজেপি। আর এবার সেটা একেবারেই পরিষ্কার হয়ে গেল।
কিছুদিন আগে মিঠুন চক্রবর্তী বলেছিলেন”নির্বাচনী লড়াইয়ে আগ্রহী নই। তবে মোদীর হাত শক্ত করতে চাই।” তবে এ যেন একেবারে উলাটপুরান। অন্তত ইঙ্গিত তেমনটাই বলছে। বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়াতে পারেন মিঠুন চক্রবর্তী, এমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর মন্তব্যেই ফের জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। বিজয়বর্গীয় জানিয়েছিলেন, দল যদি চায়, সে ক্ষেত্রে মিঠুনকে রাজী করাতে তাঁর সঙ্গে কথা বলা হবে। সেই মতই বিজেপি শীর্ষ নেতারা কথা বলেন তার সাথে। পরে রাজী হন মিঠুন। ভোটে লড়বেন, কলকাতার কোন একটি কেন্দ্র থেকে।
অন্যদিকে গতকাল প্রার্থী ঘোষনার মাধ্যমে চারটি মুখকে সামনে রেখে সম্ভাব্য মন্ত্রীসভা জনগনের সামনে তুলে ধরেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপি সূত্রে খবর, এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই কারনেই বাংলার ৪ বিজেপি সাংসদ কে বিধানসভায় লড়তে পাঠানো হয়েছে ২০২১ সালের হাইভোল্টেজ নির্বাচনে। বিজেপির দাবি, জয় নিয়ে কোন সংশয় নেই আর। অন্তত ২০০ আসন জিতে বাংলায় ক্ষমতা দখল করতে চলেছে গেরুয়া বাহিনী।