বুধবারই দলের রাজ্য সম্পাদক পদ থেকে কুণাল ঘোষকে সরিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই ঘটনার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই লোকসভা নির্বাচনের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকেও বাদ গেল তাঁর নাম! চতুর্থ দফা পর্যন্ত কুণাল ঘোষের নাম থাকলেও পঞ্চম দফায় দেখা গেল, তাঁর নাম নেই। যদিও তা নিয়ে একেবারেই দুঃখ প্রকাশ করছেন না তিনি। বরং তাঁর বক্তব্য, “আপশোস হচ্ছে না, গরমে ঘোরাঘুরি থেকে বেঁচে গিয়েছি!”
আরও পড়ুন: তৃতীয় দফা নির্বাচনে তাপপ্রবাহ নিয়ে বিশেষ গাইডলাইন, রাজ্যে এলো আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী
কলকাতা উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযোগ এনেছেন কুণাল ঘোষ। সুদীপের বিজেপি যোগ থেকে শুরু করে রোজভ্যালিকাণ্ডে তাঁর ‘অপরাধ’-কে প্রকাশ্যে এসেছেন তিনি। আগেই বলেছেন, ‘দলে আমি মিসফিট’। বুধবার যা চূড়ান্ত আকার ধারণ করে যখন একটি রক্তদান অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে কুণাল সদ্য তৃণমূলত্যাগী বিধায়ক তথা কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের প্রশংসা করেন। এরপরই তাঁকে রাজ্য সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল।
পদ হারানোর পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক বক্তব্য রাখছেন কুণাল। তাঁর কথায়, “আমার মতো বিরোধীদের কে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে? যার জন্য চুরি করি, সেই বলে চোর! সব সময় দলের পাশে থেকেছি। কিন্তু দলদাস হয়ে থাকতে পারব না। দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাই হবে। কিন্তু, তৃণমূল ছাড়ার কোনও প্রশ্নই নেই।”
অন্যদিকে, যে প্রেস রিলিজে কুণালকে সরিয়ে দেবার কথা জানা যায়, সেখানে দলের তরফে স্বাক্ষর করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। যাকে কুণাল ‘কুইজ মাস্টার’ বলছেন। এমনকি ডেরেক ‘পিওন’-এর কাজ করেছে বলে কটাক্ষও করেন তিনি। কিন্তু, কুণাল ঘোষকে দলের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কার নির্দেশে? দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কি কিছুই জানতেন না?
গরমে ঘোরাঘুরি থেকে বেঁচে গিয়েছি! তৃণমূলের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে বাদ গিয়ে মন্তব্য কুণালের
বৃহস্পতিবার প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে কুণাল বলেন, “আমি জানি না। আমার সাথে এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। কিন্তু, যে দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অঙ্গুলিহেলন ছাড়া গাছের একটা পাতা নড়ে না। সেখানে তাঁরা জানেন না কুণাল ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হল, এটা কি খুব বিশ্বাসযোগ্য। তাঁরা নিশ্চয়ই জানেন। হয়তো আমাকে আর প্রয়োজন নেই।”