নজরবন্দি ব্যুরো: নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি মাসের শেষের দিকেই রাজধানীতে নীতি আয়োগের বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল তাঁর। নিজেই দিল্লি সফর নিয়ে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হচ্ছেন না তিনি। তবে কি কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত আরও তীব্র হচ্ছে?
আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের শুভ্রাংশু, পাশের হার ৮৯.২৫ %
আগামী ২৭ মে দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠক রয়েছে। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। চলতি মাসের শুরুতেই দিল্লির সফরের কথা জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন না। এদিকে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করে জানিয়েছেন, রবিবারের অনুষ্ঠানে তাঁরা উপস্থিত থাকবেন না। এই ঘোষণার পরই আচমকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক বাতিল করার সিদ্ধান্ত সংঘাত আরও জোরালো করল বলেই মনে করা হচ্ছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি সফরের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। কেন্দ্রের কাছে তাঁর প্রশ্ন ছিল টাকার অপব্যবহার হলে এত উন্নয়ন হচ্ছে কি করে? এর আগেও নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠক তাঁকে কিছু বলতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছিলেন।

আগামী ২৮ মে সাভারকারের জন্মতিথিতে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে দিন যতই এগিয়ে আসছে বিতর্ক ততই বাড়ছে। কিন্তু শোনা গিয়েছে সংসদ ভবনের উদ্বোধনে নাকি সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এরপরই সরব হয়েছে বিরোধীরা। নরেন্দ্র মোদী সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন- এনিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। তাদের কথায়, পদমর্যাদা অনুযায়ী নব সংসদ ভবনের উদ্বোধন করার অধিকারী রাষ্ট্রপতি, তবে প্রধানমন্ত্রী কেন? বিরোধীদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নিজেই প্রচারের আলো শুষে নিতে চাইছেন। সেই কারণেই রাষ্ট্রপতিকে অনুষ্ঠান থেকে ব্রাত্য রাখা হয়েছে।
মোদীর মুখোমুখি হচ্ছেন না মমতা, নীতি আয়োগের বৈঠক বাতিল করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী?
