নজরবন্দি ব্যুরোঃ ২০১৬ এর স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশমে ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা কত? আদালতের কাছে ১৮৩ জনের নিয়োগের কথা জানায় স্কুল সার্ভিস কমিশন। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রকাশ করতে ভুয়ো নিয়োগের তালিকা। কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ Abhishek vs Suvendu: অভিষেকের সভার আগে হাইকোর্টে শুভেন্দু, আজই মামলার শুনানি
একইসঙ্গে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এদের মধ্যে কতজন, কোন স্কুলে কর্মরত, তা জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে জানতে চাইবে কমিশন। কোনও ডিআই অফিসার যদি সঠিক পদক্ষেপ না নেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে কলকাতা হাইকোর্ট।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে সিবিআই জানায়, ভুয়ো সুপারিশ দেওয়া হয়েছে ৯৫২ জনকে। বৃহস্পতিবার মামলাগুলির শুনানির হবে। এরপরেই নির্দেশ দেবেন তিনি। মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, সিবিআই ৯৫২ জনের ওএমআর শিটে গরমিল খুঁজে পেয়েছে।
দুর্নীতি সম্পর্কে স্পষ্ট করেছে সিবিআই। দুর্নীতি করতে কারসাজি করা হয়েছে ওএমআর শিটে। কমিশনের আধিকারিকদের এর জন্য দায়ি করেছে সিবিআই। জানা গেছে, ৫ নম্বর পেয়েও ৫৩ নম্বর লেখা রয়েছে সেখানে। ২০ জন প্যানেলভুক্ত ও ২০ জন ওয়েটিং লিস্টের প্রার্থীদের আদালতে জমা করেছে সিবিআই। এরপরেই স্কুল সার্ভিস কমিশন ও রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে গাজিয়াবাদ এবং কলকাতায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতর থেকে হার্ডডিস্ক পাওয়া গেছে, সেখানে প্রচুর গরমিলের অভিযোগ উঠে এসেছে। গাজিয়াবাদে যে কর্মরত শিক্ষকের নম্বর ছিল ৫। সেটা স্কুল সার্ভিস কমিশনে বেড়ে ৫০ অথবা ৫২ হয়ে যাচ্ছে। এবিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, এই বিষয়ে আগামী শনিবার স্কুল সার্ভিস কমিশন, সিবিআই এবং মামলাকারীরা ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। এরপর কী কী গরমিল রয়েছে, কী কী অভিযোগ রয়েছে, তা খুঁজে বের করে সোমবার আদালতের কাছে জানাতে হবে।
২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রকাশ করতে ভুয়ো নিয়োগের তালিকা, কড়া পদক্ষেপ হাইকোর্টের
একইসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন মন্তব্য করেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, তিনি তদন্তে সিবিআইকে সাহায্য করছেন না। নিয়োগ দুর্নীতিতে আর কারা জড়িত? এবিষয়ে মুখ খুলছেন না তিনি। তাই সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যেও জানান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আরও বড় মাথা বেরিয়ে আসতে পারে। সেই মাথা খুঁজে বের করার দায়িত্ব সিবিআইকে দিয়েছেন বিচারপতি।