নজরবন্দি ব্যুরোঃ গতবছরের খরা কেটেছে চলতি বছরে। দিঘা হোক বা ডায়মণ্ড হারবার, মৎস্যজীবীদের জাল আলো করে ধরা দিচ্ছে টন টন ইলিশ। দিঘা এখন পর্যটকে ভরা। এই গরমেও সমুদ্রের পারে তিল ধারণের জায়গা নেই। দিঘার আকর্ষণের প্রধান বিষয় যদি সমুদ্র হয়, তবে দ্বিতীয়টি সমুদ্র পারের নানা ধরণের নানা ধরণের মাছের পদ। ভাজা, রান্না করা, ভাপা যেমনই হোক না কেন। আর সেটা যদি ইলিশের পদ হয় তাহলে তো আর কথাই নেই।
আরও পড়ুনঃ এক মাসে ৩ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা বিদ্যুত বিল, দেখে অসুস্থ গৃহকর্তা, ভর্তি হাসপাতালে
গতবছর বা তার আগের বছর তেমন ভাবে ইলিশের দেখা না মিললেও এই বছরে মরশুমের শুরু থেকেই ব্যাপক ভাবে ইলিশ ধরা দিচ্ছে মৎস্যজীবীদের জালে। যেমন প্রতিদিনই পড়ছে ৫-৭ টন ইলিশ মাছ। তবে গত রবিবারই রেকর্ড গড়েছে দিঘা। শুধু রবিবারেই ইলিশ উঠেছে ২৫ টন! এই ২৫ টন ইলিশ মিলিয়ে শেষ সাত দিনে দিঘার সমুদ্রে ৮০ টন ইলিশ উঠেছে। পূবালী হাওয়া ও ঝিরিঝিরি বৃষ্টির জন্যই এই ইলিশ ধরা পড়েছে মৎস্যজীবীদের জালে। দীর্ঘদিন পর বাজারে ইলিশ দেখে হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ী সহ ভোজন রসিক বাঙালির মুখে।
এত ইলিশ ওঠায় হাসি ফুটেছে মৎস্যজীবীদের মুখে। বাজারও বেশ ভাল। তবে সেই বাজার উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং বিত্তবানদের জন্যে। কারণ ব্যাপক ভাবে ইলিশ ধরা দিলেও মাছের দাম কমছে না মোটেই। কলকাতা, হাওড়ার বাজার তো ছেড়েই দিন। যেখানে টন টন ইলিশ উঠছে সেই দিঘায় ৫০০ গ্রাম সাইজের মাছ বিকোচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকা কেজিতে। ১ কেজির কাছাকাছি হলেই দাম পেরিয়ে যাচ্ছে ১২০০ টাকা।
কলকাতার বাজারে মুম্বাই বা ঊড়িষ্যা থেকে যে ইলিশ আসছে তা বিকোচ্ছে ৬০০ টাকায় যদিও সেই মাছের সাইজ ৪০০ গ্রামের নিচে। আর যে মাছের সাইজ ৬০০-৭০০ গ্রামের মধ্যেই সেই মাছ বিকোচ্ছে ৮০০ টাকায়। ১ কেজির উপরে হলে দাম প্রায় ১৪০০ টাকা।
চলতি সপ্তাহেই দাম কমবে ইলিশ মাছের, সুখবর ভোজন রসিক বাঙালির জন্যে।
তবে সুখের খবর হল চলতি সপ্তাহেই দাম কমতে পারে ইলিশ মাছের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, যেভাবে মাছ উঠছে তাতে দাম যদি না কমানো হয় তাহলে মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত ক্রেতাদের নাগাল পাওয়া যাবেনা। তাই মাছ উঠলেও সেই মাছ বিক্রির সম্ভাবনা কম। সেই কারনেই চলতি সপ্তাহেই দাম কমতে পারে ইলিশ মাছের।