নজরবন্দি ব্যুরোঃ স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে বিস্মিত হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার কমিশনকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু কমিশনের দেওয়া হলফনামায় বেজায় অসন্তুষ্ট হন বিচারপতি। তাই গৃহিত হল না কমিশনের হলফনামা। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দেওয়া হয়নি হলফনামা। মন্তব্য বিচারপতির।
আরও পড়ুনঃ SSC: নিয়োগে আর্থিক লেনদেন? বেতন বন্ধের নির্দেশ আদালতের
এদিন মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, কমিশনের দেওয়া হলফনামা তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দেওয়া হয়নি। তাই অসন্তুষ্ট হয়েছেন বিচারপতি। ৫ জন আঞ্চলিক কমিটির সচিবের নাম হলফনামায় উল্লেখ করার কথা জানিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
২০১৬ সালের স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২০১৯ সালে ৪ মে মেয়াদ শেষ হলেও ২৫ জনকে নিয়োগের অভিযোগ ওঠে। মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। বুধবার এসএসসি সচিবকে ভৎসনা করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আপনাদের ওপর আমাদের কোনও ভরসা নেই। আপনারা কী তদন্ত করবেন আমরা জানি। রোজই কিছু না কিছু অনিয়ম আসছে। এই মামলায় সিবিআইকে তদন্ত করতে বলব। দুপুর তিনটের মধ্যে আদালতে সমস্ত তথ্য জমা দিতে হবে। নাহলে সিআইএসএফকে বলব বলব আপনাদের অফিসের পুরো দখল নিতে। পুরো কমিশন বরখাস্ত করে দেবো। নিয়োগ নিয়ে এই দুর্নীতি চলতে পারে না”।
গৃহিত হল না কমিশনের হলফনামা, ফের হলফনামা চাইলেন বিচারপতি
এসএসসি সচিব জানিয়েছেন, নিয়ম না মেনে যে নিয়োগের কথা বলা হচ্ছে সেখানে কমিশনের কোনও সুপারিশ নেই। অর্থাৎ নিয়োগের ক্ষেত্রে কমিশনের হাত নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। তখনই বিচারপতি জানান, নিয়োগে কমিশনের সুপারিশ নেই। তা লিখিত হলফনামা হিসাবে জমা দিতে হবে কমিশনকে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হলফনামা জমা দেয় কমিশন। কিন্তু তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে হলফনামা জমা পড়েনি। এমনটাই মন্তব্য করেন বিচারপতি।