নজরবন্দি ব্যুরোঃ স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নিয়োগ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতের অনুমতি ছাড়া ২৫ জনকে বেতন দেওয়া যাবে না। সাফ নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশ কোন দালালের কাছ থেকে এসেছে তা জানতে চায় আদালত। সেইসঙ্গে নিয়োগে আর্থিক লেনদেন এর আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিচারপতি।
আরও পড়ুনঃ চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি-মামলা, এসএসসি সচিবকে ভৎসনা হাইকোর্টের
এদিন সকালে এসএসসি সচিবকে তীব্র ভৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, “আপনাদের ওপর আমাদের কোনও ভরসা নেই। আপনারা কী তদন্ত করবেন আমরা জানি। রোজই কিছু না কিছু অনিয়ম আসছে। এই মামলায় সিবিআইকে তদন্ত করতে বলব। দুপুর তিনটের মধ্যে আদালতে সমস্ত তথ্য জমা দিতে হবে। নাহলে সিআইএসএফকে বলব বলব আপনাদের অফিসের পুরো দখল নিতে। পুরো কমিশন বরখাস্ত করে দেবো। নিয়োগ নিয়ে এই দুর্নীতি চলতে পারে না”।
যদিও শেষমেশ আবেদনকারী এবং রাজ্যের কথা মেনেই গোটা বিষয়টির তদন্তভার অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন আদালতের কাছে কমিশন জানিয়েছে, যে ২৫ জনের নিয়োগের বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে তাঁদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কমিশনের কোনও সুপারিশ নেই। কমিশন তাঁদের নিয়োগ করেনি।
এপরেই কমিশনকে এবিষয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার কথা জানান বিচারপতি। কমিশনের বক্তব্য আগামী দিনে মামলার গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেক্ষেত্রে ২৫ জনকে কারা নিয়োগ করল? এই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। সে বিষয়েও লিখিত জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
নিয়োগে আর্থিক লেনদেন? কী পদ্ধতিতে নিয়োগ? প্রশ্ন বিচারপতির

স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীর নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিচারপতি।। তাঁর মন্তব্য, কোন দালালের মাধ্যমে তাঁদের নিয়োগ হয়েছিল? এর থেকে বোঝা যাচ্ছে নিয়োগের সুপারিশে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে।