নজরবন্দি ব্যুরো: এবছরের জুলাইয় তৃতীয় ভাগের ট্রায়ালের পর চূড়ান্ত পরীক্ষায় ভারত বায়োটেকের তরফ থেকে দাবি করা হয় যে উপসর্গযুক্ত রোগীর দেহে ৭৭.৮ শতাংশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে কোভ্যাক্সিন। পাশাপাশি কোনো অসুস্থ রোগীর দেহেও ৯৩.৪ শতাংশ কার্যকরী ভূমিকা গ্ৰহন করে এটি।
আরও পড়ুনঃ তালিবানি ফতোয়া ভেঙে রঙিন পোশাকে অভিনব প্রতিবাদ মহিলাদের
তাই জরুরি ক্ষেত্রে বিশ্ব সংস্থার কাছে বহুদিন ধরেই আবেদনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল ভারত বায়োটেক। এই প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে গবেষক সৌম্য স্বামীনাথন বলেছিলেন, ” আগামী চার থেকে ছয় সপ্তাহের অনুমোদন পেতে পারে কোভ্যাক্সিন। ”
তবে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয় যেমন সুরক্ষাজনিত তথ্যের পাশাপাশি ট্রায়ালের জন্য ও তথ্য পেশ করতে হয় চিকিৎসা সংস্থা গুলিকে।
তবে ইতিমধ্যেই নাকি কোভ্যাক্সিন প্রস্তুতির সমস্ত তথ্য জমা দিয়ে দিয়েছে ভারত বায়োটেক। তাই এই মুহূর্তে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে এই টিকার পর্যালোচনা ভালো করে দেখে তবেই সবুজ সঙ্কেত দেবে তাঁরা।
WHO-র ছাড়পত্র পেতে চলেছে কোভ্যাক্সিন, সুবিধা হবে বিদেশ যাত্রার
বর্তমানে শোনা যাচ্ছে, এই ভ্যাক্সিনের অনুমোদন কে কেন্দ্র করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিকিৎসকদের সঙ্গে একাধিকবার আলাপ আলোচনা করছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবিয়া। আজ টুইটের মাধ্যমে তিনি জানান, ” ‘হু’র মুখ্য বিজ্ঞানী ডঃ সৌম্যা স্বামীনাথনের সঙ্গে একটি বৈঠক করলাম। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন নিয়ে আমাদের একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।” কিন্তু কবে সবুজ সঙ্কেত মেলে সেদিকেই নজর সকলের।