নজরবন্দি ব্যুরোঃ দেশে শুরু হয়েছে করোনা টিকাকরণের দ্বিতীয় পর্যায়। টিকাকরণের ডিজিটাল সার্টিফিকেটে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ছবি। আর এই নিয়েই সমালোচনার মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন, সার্টিফিকেটে কেন ব্যবহার করা হবে মোদির ছবি?
আরও পড়ুনঃ সহানুভূতিতে ক্ষমতায় বাংলা থাকছে মমতা’য়, গান বাঁধছেন সুমন
বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণার পরেও সার্টিফিকেটে কেনো রয়েছে নরেন্দ্র মোদির ছবি? এই প্রশ্ন তুলে টুইট করেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। অন্যদিকে পাঞ্জাবের এক মন্ত্রীর এই বিষয়ে চলেন, এটা ‘আত্মপ্রদর্শন’-এর এক নিদর্শন। যা নিন্দনীয়। করোনা টিকাকরণের সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকা নিয়ে বিরোধিতা করেছেন মহারাষ্ট্রের এনসিপি বিধায়ক। তিনি বলেছেন, একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ছবি কেন ওই সার্টিফিকেটে থাকবে?
উল্লেখ্য, রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। চলতি মাসের ২৭ তারিখ বঙ্গে প্রথম দফার ভোট। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রকাশিত করা হয়েছে নির্বাচনের আচরণ বিধি। এর পরে কি করে দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকছে সার্টিফিকেটে এই প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার টুইট করেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষিত হয়ে গিয়েছে। তারপরও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নির্লজ্জভাবে কোভিড-১৯ সার্টিফিকেটে ব্যবহৃত হচ্ছে।’
তিনি আরও লেখেন, তৃণমূলের তরফে এব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হবে। সেই মতোই বুধবার কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। এর পাশাপাশি ‘উজ্জ্বলা যোজনা’-র বিজ্ঞাপন এখনও কেন পেট্রল পাম্পগুলিতে থাকছে তা নিয়েও অভিযোগ জানানো হয়েছে। মহারাষ্ট্রের এক শিবসেনার সাংসদের বলেন, মোদি কেবল একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই নন। এদেশের প্রধানমন্ত্রীও। আর সেই কারণেই করোনা ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটে তাঁর ছবি রয়েছে। প্রসঙ্গত, ১ মার্চ থেকে দেশে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ কর্মসূচি।
এই দফায় টিকাকরণ করা হবে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে এবং ৪৫ বছর বয়স্কদের মধ্যে যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে সেই ব্যক্তিদের। দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম দিনই টিকা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। যাঁরা করোনার টিকা নিচ্ছেন তাঁদের সকলকেই দেওয়া হচ্ছে ডিজিটাল সার্টিফিকেট। আর সেই সার্টিফিকেটেই থাকছে প্রধানমন্ত্রীর ছবি এবং তাঁর বার্তাও। যা নিয়ে কারণে নির্বাচনের আগেও ফের একবার বিরোধীদের তোপের মুখে নরেন্দ্র মোদি।