নজরবন্দি ব্যুরোঃ নারদ মামলায় তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ, রাজ্য জুড়ে তৃণমূল সমর্থকরা সোমবার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সকলেই দাবি করেছিলেন নির্বাচনে জিততে না পেরে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে গেরুয়া শিবির। দাবি ছিলো এতোবছরের পুরানো মামলা আচমকা তুলে এনে CBI কে দিয়ে গ্রেপ্তারি সবই আসলে হচ্ছে বিজেপির অঙ্গুলি হেলনে।
আরও পড়ুনঃ উদ্দেশ্য মেটেনি তাই তৃণমূলে ফেরত যাচ্ছেন, সোনালি প্রসঙ্গে সাফ সাফাই দিলীপের
তবে দিনে দিনে দেখা যাচ্ছে অন্য চিত্রও। শুধু তৃণমূল নয়, এই ঘটনার প্রতিবাদে একে একে পদত্যাগ করছেন একাধিক বিজেপি নেতা। প্রথমেই পদত্যাগ করেছিলেন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস। তিনি তৃণমূল ছেড়েই গিয়েছিলেন পদ্মবনে। কিন্তু এই প্রতিহিংসার রাজনীতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারবেন না বলেই কদিন আগেই পদত্যাগ করেন তিনি। তার পরেও এক বিধায়ক পদত্যাগ পত্র জম দিয়েছেন। আজ ফের দুই বিজেপি নেতা জমা করেছে নিজেদের পদত্যাগ পত্র।
গতকাল দাঁতন এক নম্বর ব্লকের দক্ষিণ মণ্ডল সভাপতি রঞ্জিত মল্লিক ও কিষাণ মোর্চার সভাপতি বিকাশ দাস ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন বিজেপির অফিসে। একজনের নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর আর সেভাবে যোগাযোগ ছিলনা দলের সঙ্গে। অপর জন এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত। দুজনের বক্তব্য এই কঠিন পরিস্থিতিতে যেভাবে গ্রেপ্তার করে জেলের মধ্যে বা হেফাজতে রাখতে চাইছে তা অন্যায়। তবে বিজেপির অন্য নেতারা মনে করছেন নির্বাচন জিতে গিয়েছে তৃণমূল। তাই কেউ চাপে পড়ে কেউ বা নিজের জায়গা ঠিক রাখার জন্য দলত্যাগ করছেন।