নজরবন্দি ব্যুরোঃ রাজ্যে কবে থেকে খুলছে স্কুল? এবিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে চারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সমস্ত মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। কলকাতা হাইকোর্টের কাছে এক সপ্তাহের সময় চাইল রাজ্য। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করেই নেওয়া হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ ফেব্রুয়ারি।
আরও পড়ুনঃ CBI: অভিযুক্তদের খোঁজ দিলেই মিলবে নগদ টাকা, অভিজিৎ খুন তদন্তে ঘোষণা সিবিআইয়ের
এদিন সওয়াল জবাব পর্বে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, অনলাইন ক্লাসের সঠিক পরিকাঠামো নেই। সেকারণে বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যা। একইসঙ্গে তাঁদের বক্তব্য শারীরবৃত্তীয়ভাবে শিক্ষার যে গুণগত মানের দরকার হয় সেটা অনলাইনে হয় না। ফলে শিক্ষার মান নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকে যায়। তাহলে কী আবার স্কুলে ফিরে আসবে? সেবিষয়ে সরকার কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে কী?
বলা হচ্ছে অনলাইনে শিক্ষা প্রদান করতে শুরু করলে ডিজিটাল ডিভাইড তৈরি হবে। সমাজের যারা নিম্নবর্গীয় মানুষ তাঁদের কাছে টো অনলাইন ডিভাইস নেই। একইসঙ্গে প্রতিমাসের ট্যারিফ রিচার্জ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারণ, প্রতিমাসেই বেড়ে চলেছে মূল্য। সমাজের একেবারে প্রান্ত সীমার মানুষের কাছে তা একেবারেই সজলভ্য নয়। এছাড়াও শারীরবৃত্তীয়ভাবে স্কুল কলেজ না খোলার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে করোনা আবহের মাঝেই শারীরবৃত্তীয়ভাবে চালু হয়েছে স্কুল কলেজ। শুধুমাত্র বিশ্ব নয়, আমাদের দেশেরও একাধিক রাজ্যে খোলা হয়েছে স্কুল। ফলে আমাদের রাজ্য অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। যা ছাত্রছাত্রীদের গুনগত মান কমাচ্ছে। শিক্ষকদেরও চরম নাজেহালের শিকার হতে হয়েছে। সেই জন্যেই একজন শিক্ষক মামলা দায়ের করেছেন।
পাল্টা রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, স্কুল খুলতে সবাই আগ্রহী। আমরা জানি অনলাইন এবং অফলাইনের ক্ষেত্রে কিছু পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু সব শেষে কিছু হলে তার দায় রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে।
একইসঙ্গে রাজ্যের তরফে আরও বলা হয়, পুজোর পর স্কুল খোলার জন্য হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু যারা মামলা দায়ের করেছিলেন তাঁরা সকলেই অভিভাবক নন। রাজ্যের তরফে এও বলা হয়, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ শুরু হয়েছে। এখনও প্রায় ৪৫ লক্ষের বেশি টিকা দরকার। এখনও অবধি ১২ বছরের নীচে টিকাকরণ শুরু হয়নি। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ ফেব্রুয়ারি। সেদিনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তী বিষয়ে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন ধরে স্কুল বন্ধের কারণে বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যা। স্কুল খুলে তাঁদের ফের স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করুক সরকার। এই মর্মে বৃহস্পতিবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন শিক্ষক প্রিয়ঙ্কর ভট্টাচার্য।
কবে থেকে খুলছে স্কুল? সময় চাইল রাজ্য
মামলাকারীর তরফে জানানো হয়েছে, করোনাকালে অনলাইনে ক্লাস চালু রয়েছে। কিন্তু সঠিক পরিকাঠামোর অভাবে বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যা। করোনা আবহে স্কুল খোলার দাবীতে তাই আরও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। মোট এনিয়ে চারটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছে ছাত্র সংগঠন এআইএসএফ।
শিক্ষক প্রিয়ঙ্কর ভট্টাচার্যে, সমাজকর্মী শেখ ইমরান এবং ওয়াজউদ্দিনের পক্ষে সওয়াল জবাব করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। তিনি জানিয়েছেন, “এই রাজ্যে পানশালা চলছে, কিন্তু পাঠশালা চলছে না। পাঠশালা বন্ধ রয়েছে পানশালা চলছে। ফলে পাঠশালার সরকার হতে গেলে যা যা করা দরকার তা সরকার করবে। আর তা না হলে পথ তো খোলাই রয়েছে”।