নজরবন্দি ব্যুরোঃ অনলাইন ক্লাসের আওতায় শহরে ২৮%, গ্রামে ৮%, বলছে সমীক্ষা। ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক ‘স্কুল চিলড্রেন্স অনলাইন অ্যান্ড অফলাইন লার্নিং (স্কুল)’ নামে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে দেশ জুড়ে। তাতেই উঠে এসেছে এমন তথ্য।
আরও পড়ুনঃ ভবানীপুর জিততে তৈরি ব্লুপ্রিন্ট, মমতার কেন্দ্রে ওয়ার্ড ভিত্তিক দায়িত্ব শীর্ষ নেতাদের
এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা অফলাইন ক্লাসের বিকল্প হতে পারেনি। পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, দিল্লি, বিহার, অসম সহ ১৫ টি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে ১,৩৬২টি পরিবারের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এই সমীক্ষার শর্তই ছিলো এক জনকে হয় প্রাইমারি অর্থাৎ প্রথম-পঞ্চম শ্রেণি কিংবা আপার প্রাইমারি অর্থাৎ ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণি-র পড়ুয়া হতে হবে।
অনলাইন ক্লাসের আওতায় শহরে ২৮%, গ্রামে ৮%, বলছে সমীক্ষা।
এই সমীক্ষায়তেই দেখা গেছে, কোভিড পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল যাওয়ার বিকল্প অফলাইন ক্লাস হতে পারে নি। অনলাইন ক্লাসের আওতায় শহরে ২৮%, গ্রামে ৮%, অর্থাৎ এরা নিয়মিত অনলাইন ক্লাস করেছে। এর কারন হিসেবে স্মার্ট ফোন না থাকাও উঠে এসেছে।
পাশাপাশি, সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে, স্মার্ট ফোন থাকলেও পড়াশোনার মানসিকতা হারিয়েছে একাধিক পড়ুয়া। স্মার্ট ফোন থাকা সত্বেও অনলাইন ক্লাস করেনি এমন পড়ুয়া শহরে এবং গ্রামে ৩১ শতাংশ ও ১৫ শতাংশ। এদিকে অভিভাবকদের মতে দীর্ঘদিন স্কুল না খোলায় পড়াশোনা নিম্নমুখী হয়েছে সন্তানদের। তাই তাঁরা চান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্কুল খোলা হোক।
রিপোর্টেও দ্রুত স্কুলের পরিবেশে ফিরিয়ে আনতে বড় ক্লাসের পাশাপাশি ছোট ক্লাস খোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে ওই একই আবেদন জানিয়েছেন ৫৫ জন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবিদ। স্কুল বন্ধ থাকায় ছেলেমেয়েদের পুষ্টি নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন কিছু স্বাস্থ্যবিদ।
অনেকেই আছে যারা স্কুলের মিড ডে মিলের উপর নির্ভর করে থাকে। স্কুল বন্ধ হয়ে থাকায় তাতে ইতি পড়েছে। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে স্কুল থেকে রান্নার চাল ডাল বা নগদ টাকা পেয়েছেন যথাক্রমে শহর ও গ্রামের ৮০ শতাংশ ও ৮৬ শতাংশ পরিবার। তেমনই শহরে ও গ্রামে প্রায় ২০ শতাংশ ও ১৪ শতাংশ পরিবার পড়ুয়া পিছু খাবার বা নগদ টাকা পায়নি। তাঁদের নিয়েই চিন্তিত স্বাস্থ্যবিদ।