নজরবন্দি ব্যুরোঃ রাজ্যজুড়ে হুহু করে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। শুরু হয়েছে আংশিক লকডাউন সাথে একাধিক কঠোর করোনা বিধি। জনগনের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে প্রশাসন। জোর কদমে চলছে টিকাকরণ। কিন্তু এরই মাঝে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র (Kiff 2022) উৎসব কে। তাই প্রশ্ন উঠছিল করোনা আবহে জানুয়ারিতেই কি বইমেলা হবে?
আরও পড়ুনঃ সুরের থেকে বেসুরো শুনতে ভালো লাগে, জোড়া বৈঠকের পর জানালেন শান্তনু ঠাকুর
পূর্ব নির্ধারন অনুযায়ী জানুয়ারি মাসেই সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল কলকাতা বইমেলা (Kolkata Book Fair)। ৩১ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলার কথা ছিল এই বইমেলার। কিন্তু আজ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, কোভিড আবহে পিছিয়ে গেল কলকাতা বইমেলা। ৩১ জানুয়ারির পরিবর্তে বইমেলা শুরু হচ্ছে ২৮ ফেব্রুয়ারি ।
এবারের থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। কথা আছে বইমেলার প্রাঙ্গনে উদযাপিত হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম শতবর্ষ। সাথে পালিত হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু-র ১২৫তম জন্মবর্ষ, সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ এবং ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছেন রাজ্য সরকার। যেখানে খোলা মাঠে মেলার অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের নয়া বিজ্ঞপ্তি মেনে হচ্ছে বইমেলা। কিন্তু সেই তারিখ কবে? তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল যা আজ কেটে গেল মেলার আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়ের ঘোষণায়।
কারন গত বছর করোনার কারণে বইমেলা হয়নি। এবছর কি হবে তা নিয়ে তৈরী হয়েছিল সংশয়। বুকসেলার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স গিল্ডের তরফে বলা হয়েছিল, বইমেলা হলে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। শারীরিক দূরত্ব-সহ মেনে চলতে হবে যাবতীয় কোভিড বিধি। গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, ‘আমরা সমস্ত আয়োজন করে রেখেছি। মানুষজনকেও বলছি, মেলায় প্রবেশ করতে গেলে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়া আবশ্যক।’
Kolkata International Book Fair: বাড়বাড়ন্ত কোভিড, পিছিয়ে গেল কলকাতা বইমেলা
মেলামাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি স্টলের মাপ। ১০০ বর্গফুটের স্টল ছোট করে ৬৭ বর্গফুট করা হয়েছে। ১৬০০ বর্গফুটের স্টলের মাপ কমিয়ে ১০৫০ বর্গফুট হয়েছে। এর ফলে মেলার মাঠে ফাঁকা জায়গার পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৩০-৩৫ শতাংশ। তৈরি হয়ে গিয়েছে বইমেলার ম্যাপ।