নজরবন্দি ব্যুরোঃ চিন্তায় ধূমপায়ীরা এবার সুখের টানে পড়ল লাগাম, চাইলেও খুচরো সিগারেট কিনতে পারবেন না দোকান থেকে। সম্প্রতি এমনই সুপারিশ করেছে সংসদের স্থায়ী কমিটি। বেশ আগেই সিগারেটের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হয়েছিল, তবে ২০১৩ সালের সংশোধিত আইন অনুযায়ী বিক্রয়স্থলে সিগারেট প্রদর্শন করা যেত। এবার থাকছে না এসব সুযোগও। তামাকপণ্য বিক্রি বন্ধের দিন কঠোর হচ্ছে সরকার।
আরও পড়ুনঃ বাকশক্তি হারিয়েছেন অসহায় উর্ফি, হাসপাতালের বেডে শুয়ে কী ইঙ্গিত করলেন তিনি ?
সিঙ্গল সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধের সুপারিশ করেছে সংসদের স্থায়ী কমিটি। তাতে বলা হয়েছে, বাজারে খুচরো সিগারেট বিক্রি প্রভাব ফেলছে তামাক নিয়ন্ত্রণ অভিযানে। কমিটি আরও জানাচ্ছে, দেশে বিমানবন্দরের স্মোকিং জোনও বন্ধ করতে হবে। স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার সিঙ্গল সিগারেট বিক্রি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ করতে পারে। ৩ বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সুপারিশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করেছিল। এরপর তা বিক্রির বিরুদ্ধেও আইন করা হয়। এবারও সেই পথেই হাঁটতে চলেছে সরকার।
সংসদের কাজ সহজ করতে দুই ধরনের কমিটি গঠন করা হয়। প্রথমটি স্থায়ী ও দ্বিতীয়টি অ্যাডহক। স্থায়ী কমিটিতে লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা থাকেন। যাদের মেয়াদ ১ বছরের জন্য বহাল থাকে। কমিটি কাজ সহজ করার জন্য সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। কমিটি IARC রিপোর্ট উল্লেখ করেছে। এই মতে অ্যালকোহল ও তামাক সেবন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
জিএসটি কার্যকর হওয়ার পরে ভারতে বিড়ির উপর ২২ শতাংশ ও সিগারেটের ওপর ৫৩ শতাংশ ও ধোঁয়াহীন তামাকের ওপর ৬৪ শতাংশ কর ধার্য করা হয়েছে। এতকিছুর পরও ভারতের এই সিদ্ধান্তে খুশি নয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। WHO ভারত সরকারকে তামাকজাত পণ্যের উপর ৭৫ শতাংশ কর আরোপ করতে বলেছিল।
‘সিঙ্গল সিগারেট’ আর বিক্রি হবে না দোকানে, তামাকপণ্য কঠোর হচ্ছে সরকার
সিগারেটের কারণে প্রতি বছর দেশে ৩.৫ লক্ষ মানুষ মারা যান
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিগারেট ধূমপানের প্রভাবে ভারতে প্রতি বছর ৩.৫ লাখ মানুষ মারা যায়। আমেরিকায় এই সংখ্যা প্রায় ৪.৮ লাখ। সিগারেট থেকে মৃত্যুর প্রধান কারণ নিকোটিনের অতিরিক্ত মাত্রা। সরকার অনেকবার তা বন্ধ করার চেষ্টা করেও সফলতা পায়নি।২০১৮ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক গবেষণা পরিষদ একটি সমীক্ষা চালায়। সেই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ধূমপানকারীদের মধ্যে ৪৬ শতাংশ নিরক্ষর ও ১৬ শতাংশ কলেজগামী ছাত্র।