৪০০ পারের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ভোটযুদ্ধে নেমেছে বিজেপি। কিন্তু গতকাল ইন্ডিয়া জোটের ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ সমাবেশ থেকে রাহুল গান্ধী আক্রমণ শানিয়েছে পছন্দের আম্পায়ার দিয়ে ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ ছাড়া কোন ভাবেই ১৮০ র গন্ডিও টপকাতে পারবেনা মোদী সরকার। ‘স্বচ্ছ এবং অবাধ’ লোকসভা নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঁচ দফা দাবি তুলল বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’।
আরও পড়ুন : মৃতের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর, রাতেই আহতদের দেখতে হাসপাতালে
আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে অরবিন্দ কেজরীওয়াল। একের পর এক দুর্নীতি মামলায় বিধ্বস্ত রাজ্যের শাসকদল। জোড়া আয়কর নোটিশ পেয়েছে কংগ্রেস। নির্বাচনের আগে বিরোধীদের একচুলও জমি ছাড়তে রাজী নয় মোদী সরকার। লোকসভার প্রতিবাদে ফের এককাট্টা বিরোধীরা। রবিবার মেগা র্যালির আয়োজন করেছিল ২৮ দলের ইন্ডিয়া জোট শরিকরা। সেই মঞ্চ থেকেই ৫টি দাবীর কথা তুলে ধরেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
যেগুলি হল, ১. আসন্ন নির্বাচনে প্রতিটি দলের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা উচিত কমিশনের। ২. বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বার্থে যেভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার হচ্ছে অবিলম্বে তা আটকানো উচিত। ৩. দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল ও ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে দ্রুত মুক্তি দেওয়া উচিত কমিশনের। ৪.সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে সিট গঠন করে ইলেক্টোরাল বন্ডের তদন্ত হওয়া উচিত। ৫. বিরোধী দলগুলির যেসব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে তা দ্রুত খুলে দেওয়া হোক।
নির্বাচনের প্রাক্কালে ঐক্যবদ্ধ INDIA জোট, স্বচ্ছ ও অবাধ ভোটের জন্য কমিশনকে ৫ দফা দাবী
এই পাঁচ দাবির প্রসঙ্গ তুলে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “ক্ষমতা চিরকাল থাকবে না। ঔদ্ধত্যও মুছে যাবে। কেবল সত্যই দিনের শেষে জিতবে। আমার মনে হয় বিজেপি একটি মোহের মধ্যে আটকে রয়েছে। আমি ওদের এক হাজার বছরের পুরনো ইতিহাস স্মরণ করাতে চাই। যখন ভগবান রাম সত্যের জন্য যুদ্ধে নেমেছিলেন তখন তাঁর কাছে না ছিল শক্তি না ছিল প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। এমনকী তাঁর কোনও রথও ছিল না। রাবণের কাছে রথ, অস্ত্রশস্ত্র, লোকবল সবই ছিল। তবে ভগবান রামের কাছে ছিল সত্য, আশা, বিশ্বাস, ধৈর্য এবং সাহস।”