নজরবন্দি ব্যুরোঃ গরু পাচার মামলায় হেফাজতে থাকা কেষ্ট তদন্তে অসহযোগিতা করছেন। আদালতেও এদিন সেবিষয়ে উল্লেখ করলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। সিবিআইয়ের আইনজীবীর তরফে এদিন জানানো হয়েছে, অনুব্রতের প্রভাবে সায়গলের কাজের প্রমাণ নেই। একইসঙ্গে শারীরিক অসুস্থতার কথা মাথায় রেখে জামিনের আবেদন জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ Sourav Ganguly: শুধু পাকিস্তান নয়, জিততে হবে এশিয়া কাপ, বার্তা বোর্ড সভাপতির
এদিন আদালতের কাছে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, শরীর বরাবর অসুস্থ। কাল জ্বর ছিল। কাশি। চিকিৎসকরা সঠিকভাবে দেখভাল করছেন কি না সেবিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেই অনুব্রতের জবাব, ওষুধ খাচ্ছি। শুনে বিচারক বলেন, অসুবিধা হলে চিকিৎসককে বলতে দ্বিধা বোধ করবেন না। সায় দেন অনুব্রত। তবে শুরু থেকেই যে অনুব্রত তদন্তে সহযোগিতা করছেন না সেই অভিযোগ একাধিকবার তোলা হয়েছিল সিবিআইয়ের তরফে।
শনিবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে অনুব্রত মণ্ডল বের হওয়ার সময় বলেন তিনি তদন্তে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করছেন। কিন্তু আদালতে পুরো উল্টো অভিযোগ তুললেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। সিবিআইয়ের যুক্তির পাল্টা অভিযোগ তুলে অনুব্রতর আইনজীবী বলেন,বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা জানানো হয়েছিল। তখন কোনও জবাব দেয়নি সিবিআই। পরের দিন আবার নোটিস পাঠানো হয়। এতেই সিবিআইয়ের স্বচ্ছতা নষ্ট হয়েছে। ১৪ দিনের বিশ্রামের কথা মেডিক্যাল রিপোর্ট সহকারে দেওয়া হয়। সিবিআই কী ব্যবহার করেছে সেটা দেখা উচিত। অনুব্রত পালিয়েও যাননি, গা-ঢাকাও দেননি।
অনুব্রতর প্রভাবে সায়গলের কাজের প্রমাণ নেই, হেফাজতে নিতে মরিয়া সিবিআই
এমনকি তাঁর প্রভাবে সায়গল হোসেন কাজ করেছেন এর প্রমাণও নেই। এরপরেই সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, বিরাট অঙ্কের টাকা অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর পরিবারের অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন হয়েছে। উনি প্রভাবশালী। ওঁর সঙ্গে রাজ্য সরকারের যোগসূত্র রয়েছে। ভুয়ো প্রেসক্রিপশন লিখতে চিকিৎসকদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ওঁর দেহরক্ষী মধ্যস্থতাকারী। এটা কোনও একার ব্যবসা নয়। একটা চক্র।