নির্বাচনের আগে বিরোধীদের সবচেয়ে বড় যে দাবিটা থাকে, তা হল, কেন্দ্রীয় বাহিনী। বেশিরভাগক্ষেত্রেই আদালত পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টা। অবশেষে সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তাতেই হচ্ছে এবারের লোকসভা ভোট। অথচ আজ ষষ্ঠ দফায় দেখা গেল, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন খোদ বিজেপি প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: শেষ হল ষষ্ঠ দফা নির্বাচন, সবচেয়ে বেশি ভোট পড়ল বাংলায়, কত শতাংশ?
উত্তর থেকে দক্ষিণের দিকে যতই বাংলায় ভোট এগোচ্ছে, ততই চিত্রটা বদলাচ্ছে। ষষ্ঠ দফায় একাধিক এলাকায় ঝামেলা, অশান্তি হল। বিশেষ করে কেশপুরে, গড়বেতায়। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান দিলেন জনতা। আর ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু তো ইটবর্ষণে আঘাত পেয়ে কিছু সময় হাসপাতালেও পড়ে রইলেন। মাথা ফাটল তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর।
হিরণ তো সাফ বলেই দিলেন, রাজ্য পুলিশ-কেন্দ্রীয় বাহিনী-নির্বাচন কমিশন মিলে তাঁর বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্স করে নিয়েছে! একই সুর অগ্নিমিত্রা পালের কণ্ঠেও। তাঁর বক্তব্য, ভেতরে ছাপ্পা হোক বা পোলিং এজেন্টকে বসতে না দেওয়া, কেন্দ্রীয় বাহিনী বাইরে দাঁড়িয়ে শুধু দেখে যাচ্ছে। আবার কাঁথির বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী তো প্রকাশ্যে ঝামেলায় জড়ালেন বাহিনীর এক জওয়ানের সঙ্গে। তৃণমূলের জুন মালিয়ারও এক মহিলা জওয়ানের সঙ্গে বচসা হল।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে প্রকাশ্যে বিবাদ, ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ খোদ বিজেপি প্রার্থীদের!
লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ শেষ হল। ছ’টি রাজ্য ও দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে দেশের ৫৮টি আসনে মোট ৮৮৯ জন প্রার্থী ছিলেন। দিনের শেষে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, শতাংশের হারে সবচেয়ে ভোট দিয়েছেন বাংলার মানুষ। পঞ্চম দফায় সারা দেশে ভোট পড়ল ৫৮.৮৪ শতাংশ। সেখানে বাংলার মোট আটটি কেন্দ্র মিলিয়ে ভোটদানের হার ৭৮.১৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে ঝাড়খণ্ড, ৬২.১৬ শতাংশ।