নজরবন্দি ব্যুরোঃ তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগেই জানতেন ট্রোলের শিকার হবেন। সেই কারনে আগেভাগেই নিজের মোবাইল থেকে ফেসবুক আর ট্যুইটার আন ইন্সটল করেছেন বাবুল। ইচ্ছা, দিদির দলের রিজার্ভ বেঞ্চ নয়, প্রথম একাদশে স্থান পাওয়ার। এদিন বাবুল ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে প্রচারে যেতে চান না তিনি। তাঁর কথায়, ভবানীপুরের জন্যে দিদিই যথেষ্ট, অহেতুক বিড়ম্বনায় তাঁকে যেন না ফেলা হয়।
আর পড়ুনঃ ট্রোল এড়াতে ফেসবুক – ট্যুইটার ডিলিট, ‘প্রথম একাদশে সুযোগ’ পেয়ে দিদিকে ধন্যবাদ বাবুলের।
এদিন নতুন দলে যোগ দিয়ে পুরনো দলের সহ যদ্ধাদের আক্রমন করেন বাবুল সুপ্রিয়। দিলীপ ঘোষের সমালচনা করে তাঁর বক্তব্য, “একটা দলের আদর্শ হওয়া উচিত, মানুষের হয়ে কাজ করা।” দিলীপ ঘোষকে টার্গেট করে তাঁর বক্তব্য, ‘‘যাঁরা আমাকে পর্যটক বলছেন, তাতে আমার বিশেষ কিছু আসে যায় না।’’ তবে নিজের একাধিক বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বাবুলের মন্তব্য, “আমার কোনও পোস্ট যদি বিড়ম্বনায় ফেলে, তাহলেও আমি সরব না। তবে আপনারা যদি জানতে পারেন, আমাকে জানাবেন, আমি চুপচাপ ডিলিট করে দেব।”
এদিন অনুপম হাজরাকেও এখাত নেন বাবুল সুপ্রিয়। প্রসঙ্গ ছিল মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ভিক্টোরিয়াল মেমোরিয়াল ের সামনে দাঁড়িয়ে ঝালমুড়ি খাওয়া ট্রোল। বাবুল বলেন, “অনুপম হাজরার প্রশ্নের জবাব দেব কেন? কটূ কথা বলে জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন অনুপম হাজরা। দয়া করে বুঝুন, দিদি আমাকে ঝালমুড়ি অফার করেছিলেন। কেন করেছিলেন? বলছি। প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন কলকাতায়। তখন প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বেরিয়ে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি এসেছিল। রাজভবনে যাওয়ার পথে উনি আমাকে গাড়িতে বসতে বলেন। উনি যাওয়ার পথে ভিক্টোরিয়ার সামনে আমাকে ঝালমুড়ি খাওয়ার কথা বলেছিলেন, আমি কেন খাব না? যদি কাজ করার জন্য বিজেপি-র মন্ত্রীর সঙ্গে ঝালমুড়ি খেতে হয়, তাহলেও খাব।”
প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে প্রচারে যেতে চান না বাবুল সুপ্রিয়!
শুভেন্দু অধিকারী তাঁর সমালোচনা করেছে তাঁতে বিড়ম্বিত নন জানিয়ে বাবুল বলেন, “উনি আমার সমালোচনা করবেন। এতা ওনার অধিকার।” এরপরেই আসে ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থীর প্রসঙ্গ। বাবুল সাফ জানিয়ে দেন, “প্রিয়ঙ্কা লড়াকু মেয়ে।” তবে এতাও জানান, প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে প্রচারে যেতে চান না তিনি। কারন হিসেবে তাঁর ব্যাখ্যা, ভবানীপুরের জন্যে দিদিই যথেষ্ট। তাঁর কথায়, “আমাকে বিড়ম্বনায় না ফেলতে বলব দলকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য বাবুল সুপ্রিয়র কোনও প্রয়োজন নেই।”