জেলা রাজনীতিতে একটা সময় ‘সাপে-নেউলে’ সম্পর্ক ছিল মুকুল রায় ও অর্জুন সিংহের। যদিও সে সম্পর্ক পরে অন্যদিকে বাঁক নেয়। মুকুলের হাত ধরেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন দাপুটে নেতা অর্জুন সিংহ। শুক্রবার সেই মুকুল রায়ের বাড়ি গিয়েই দেখা করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী। পা ছুঁয়ে নিলেন আশীর্বাদ। মুকুলের হাতে তুলে দিলেন ফুলের স্তবক।
আরও পড়ুন: যাদবপুরে ভোটপ্রচারে গিয়ে বাধার সম্মুখীন সায়নী, রাস্তা-নিকাশি নিয়ে ক্ষোভ এলাকাবাসীর
রাজ্য-রাজনীতির ‘চাণক্য’ হিসাবে পরিচিত মুকুল রায়। তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থানের নেপথ্যে মুকুলের অগ্রণী ভূমিকা ছিল বলেই মনে করেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও সেই ‘চাণক্য-যুগ’ শেষ হয়েছে। রাজনীতি থেকে এই মুহূর্তে অনেকটাই দূরে মুকুল। ছেলে শুভ্রাংশু আগেই জানিয়েছিলেন, মাথায় কিছু সমস্যা হয়েছে বাবার। সেই অনুযায়ী চিকিৎসাও চলছে।
আগের চেয়ে শরীর অনেকটাই ভেঙে গিয়েছে মুকুল রায়ের। তাঁর বাড়িতে গিয়ে অর্জুন সিংহ বললেন, “মুকুল রায় আমার রাজনৈতিক অভিভাবক। তাঁর হাত ধরেই আমার রাজনীতিতে আসা। আজ ওঁর আশীর্বাদ নিলাম। মুকুল’দা ভোটে জেতার কথাই বলেছেন। শুভ্রাংশু আমার ছেলের মতো।” মুকুল রায়ও নাকি ‘বিজয়ী ভব’ বলে আশীর্বাদ করেছেন অর্জুনকে এমনটাই সূত্রের খবর।
মুকুলের বাড়ি গিয়ে আশীর্বাদ নিলেন অর্জুন, চাণক্য-মন্ত্রেই ফের বাজিমাত ব্যারাকপুরে?
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুরের টিকিট অর্জুন সিংহকে দেয়নি তৃণমূল। ক্ষোভে ফের একবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। এবার পদ্ম-প্রতীকেই লড়বেন অর্জুন। দিন কয়েক আগেই তিনি ব্যারাকপুরের আর এক দাপুটে সিপিআইএম নেতা তড়িৎ বরণ তোপদারের সঙ্গে দেখা করেন। আবার ব্যারাকপুরের এবারের তৃণমূলপ্রার্থী পার্থ ভৌমিকও মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। ফলে, বঙ্গ রাজনীতিতে চাণক্য যে একেবারে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাননি তা আবারও প্রমাণিত।