নজরবন্দি ব্যুরোঃ ছোট দল যখন বড় দলকে পরাজিত করে, তখন বলা হয় আপসেট। অতীতে বিশ্বকাপে এমন আপসেট বেশ কয়েকবার ঘটেছে। উত্তর কোরিয়ার কাছে ইতালির হার, দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে জার্মানির হার, অথবা আমেরিকার কাছে ইংল্যান্ডের হার। তাই বলে সৌদি আরবের কাছে প্রবল পরাক্রমশালী আর্জেন্টিনা হেরে যাবে এমনটা স্বপ্নেও ভাবা যায়নি।
আরও পড়ুনঃ কেষ্টহীন বীরভূম নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা অভিষেকের, বৈঠকে দেবেন বিশেষ বার্তা
মেসির শেষ বিশ্বকাপে রূপকথার কাহিনি রচনা করবে আর্জেন্টিনা। সে অপেক্ষাতেই এদিন একবুক আশা নিয়ে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই যে এমন অঘটন ঘটবে, তা হয়তো আর্জেন্টিনা দলের অতি বড় শত্রুও কল্পনা করেননি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে গত ৬ দশকে প্রথমে গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পর কখনও ম্যাচ হারেনি লা আলবেসেলেস্তা।
কিন্তু এদিন পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেওয়ার পরও জয় উপহার দিতে ব্যর্থই হল মেসি। অপরদিকে নিজেদের সবটা নিংড়ে দিলেন সৌদির ফুটবলাররা। বুঝিয়ে দিলেন, নাম নয়, মাঠে নেমে খেলাটাই আসল। ম্যাচের শুরুটা ভাল করে আর্জেন্টিনা। নিজেদের মধ্যে বল ধরে ছোট ছোট পাসে উঠছিলেন মেসিরা। তার ফলে সুযোগও তৈরি হয়। প্রথম ২ মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যেতে পারত আর্জেন্টিনা।
ডান প্রান্তে বল পেয়ে বক্সের কাছে এসে লাউতারো মার্তিনেজের দিকে বাড়ান দি মারিয়া। মার্তিনেজের ব্যাক হিল ধরে বাঁ পায়ের মাটি ঘেঁষা শটে গোল করার চেষ্টা করেন মেসি। কিন্তু গোড়ালির দিকে বল লাগায় ঠিক জায়গায় বল যায়নি। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন সৌদির গোলরক্ষক। তাতে অবশ্য গোল পেতে সমস্যা হয়নি আর্জেন্টিনার।
খেলা শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মেসি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন তিনি। বাঁদিক থেকে আর্জেন্টিনার গোমেজ নজরে পড়ছিলেন। কিন্তু ডি মারিয়া প্রথমার্ধ পর্যন্ত নিজের স্বাভাবিক খেলা তুলে ধরতে পারেননি। ২২ মিনিটে মেসি দ্বিতীয় বার বল জালে জড়িয়েছিলেন। কিন্তু অফসাইড হয়ে যায়। যত সময় যাচ্ছিল উৎকণ্ঠা বাড়ছিল আর্জেন্টিনার সমর্থকদের। আর্জেন্টিনা আক্রমণ তুলে আনছিল।
সৌদি আরবের মরুঝড়ে ছিন্নবিচ্ছিন্ন নীল সাদা, অঘটন কাতারে
কিন্তু বক্সে ফিনিশ হচ্ছিল না। সৌদির গোলরক্ষক এবং ডিফেন্ডার সাহসী লড়াই চালিয়ে গেলেন। অতিরিক্ত ৮ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল। আশা করা হচ্ছিল আর্জেন্টিনা হয়তো হার বাঁচিয়ে নেবে। একটি গোল শোধ করে দেবে তারকা খচিতদল। কিন্তু সেটা আর হল না। অপর দিকে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে ইতিহাস তৈরি করলো সৌদি আরব।