নজরবন্দি ব্যুরোঃ ভবানীপুরে আটে আট মমতার, রেকর্ড গড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রেকর্ড গড়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভোটারদের। কয়েকমাস আগেই ভবানীপুরের ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২ টি তে লিড নিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। তৃণমূলের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জয়ী হন ২৮ হাজার ভোটে, লিড নেন ছটি ওয়ার্ড থেকে।
আরও পড়ুনঃ নাম ঘোষনা হতেই প্রচারে নামলেন শান্তিপুর ও গোসাবার ঘাসফুল প্রার্থী
যার মধ্যে শুধু ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড তাঁকে লিড দিয়েছিল ২১ হাজার ৩৭৯ ভোট।সার্বিকভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রিয়াঙ্কা টিবরিওয়াল কে পরাজিত করেছেন ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে। এদিন মমতা বলেন, “এটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। কোনও ওয়ার্ডের মানুষ আমাদের হারাননি। ২০১৬ সালেও আমি একটি দুটি ওয়ার্ডে ভোট কম পেয়েছিলাম। এবার একটি ওয়ার্ডেও ভোট কম পাইনি।”
ভবানীপুরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের খবর সামনে আসতেই বোলপুরে তৃণমূলের জেলা পার্টি অফিসে উৎসব শুরু হয়ে যায়। সবুজ আবির খেলার পাশাপাশি পথচলতি মানুষদের মিষ্টিমুখ করানো হয়। কয়েকশো তৃণমূল সর্মথক রাস্তায় নেমে আসেন। এই আনন্দের সময় সাংবাদিক বৈঠক করেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল।
সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন ”একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করে চলেছে মমতা। আর বিজেপি দেশের সম্পত্তি বিক্রি করে দিচ্ছে। মানুষ সব দেখছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কারও তুলনা হয় না। কথা দিয়েছিলেন, কথা রেখেছেন। বাংলা মেয়েদের জন্য ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ চালু করেছে। দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বিকল্প নেই।”
”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কারও তুলনা হয় না। আমি বলেছিলাম, ৬০ থেকে ৮০ হাজার ভোটে জিতবে। তৃণমূল জিতবে না কী বিজেপি জিতবে? বিজেপি এখন কী করবে, ওরা ঠিক করবে। বাড়িতে বসে থাকবে না চারপায়ে হাঁটবে। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ দেখছে, উন্নয়ন দেখছে।
“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কি ছাগল-বিড়ালের তুলনা হয়?
উনি যা বলেন, তা সফল করে দেখান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কি ছাগল-বিড়ালের তুলনা হয়? শুভেন্দু পাগল ও মানুষের পর্যায়ে নেই। এরা সব ছাগল বিড়াল।” তাঁর আরও বক্তব্য, ”আমি আবারও বলছি, কোর্ট যদি রায় দেয়, নন্দীগ্রামে গণনা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানেও ৫০ হাজার ভোটে জিতবেন।”