নজরবন্দি ব্যুরোঃ ১০-বার সিবিআই সমন এড়িয়ে অবশেষে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আজ সকালে আটক হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কেষ্টকে গরু পাচার কাণ্ডে আটক করেছে সিবিআই। এদিন সকালে কেষ্টর বাড়ি থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী, পুলিশ, সিবিআই আধিকারিক এবং সংবাদমাধ্যমের গাড়ি মিলিয়ে ৭০ টি কনভয় রওনা দেয় আসানসোলের ইএসআই হাসপাতালের উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুনঃ অনুব্রতর গ্রেফতারে ঢাক বাজিয়ে রাস্তায় নেমে গুড়-বাতাসা বিতরণ করল বিজেপি।
সেখানে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে অনুব্রত কে নিয়ে সিবিআই আধিকারিকদের দল এখন পৌঁছে গিয়েছে শীতলপুর গেস্ট হাউসে। সেখানেই কিছুক্ষন পর তাঁকে জেরা শুরু করবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সূত্রের খবর, জেরায় সহযোগীতা না করলে তাঁকে গ্রেফতার করে আজ রাতেই কলকাতায় নিয়ে আসতে পারে সিবিআই।
এদিন সকালে অনুব্রত মন্ডলের গ্রেফতারি নিয়ে খবর ছড়িয়ে পড়তেই, রাজ্য জুড়ে চাপানউতর তৈরি হয়। বিরোধীরা যতটা আনন্দিত ঠিক ততটাই শঙ্কায় রয়েছে রাজ্যের শাসক দল। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলের কানাঘুষো পার্থর মত অনুব্রতর বিরুদ্ধেও কোন প্রমান পেলে তাঁকে সাসপেন্ড করে যাবতীয় ক্ষমতা কেড়ে নিতে পারে তৃণমূল।
তবে অনুব্রতের আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘অনুব্রতবাবুকে ৪১-এ ধারায় নোটিস দেওয়া হয়েছে। এই নোটিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়। গ্রেফতার নয়। ওঁকে আটক করা হয়েছে। আমার মক্কেল তদন্তে সহযোগিতা করবেন। তাতে সিবিআই সন্তুষ্ট হবে আশা রাখি।’’
শীতলপুর গেস্ট হাউসে কেষ্টকে জেরা করবে সিবিআই, আজ রাতেই গ্রেফতার?
তবে আইনজীবীর কথায় চিড়ে ভিজছে না বলেই খবর। কারণ সিবিআই তাঁকে যতবারই নোটিশ দিয়েছে ততবারই সেই জেরা এড়িয়ে গিয়েছেন অনুব্রত। অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের মতই পাড়ি জমিয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। যদিও এইবার কলকাতার এই সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কোন রিস্ক নেয়নি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অভিজ্ঞতা সামনে রেখে। কেষ্টকে ভর্তি না নিয়ে ফিরিয়ে দেয় হাসপাতাল। তারপরেই তাঁকে আটক করল সিবিআই।