নজরবন্দি ব্যুরো: শুটিং ছেড়ে পড়ে আছেন বাংলায়, বেশ কয়েকদিন ধরেই। গত ৭ই মার্চ বিজেপি ব্রিগেড থেকেই আনুষ্ঠানিক ভাবে গেরুয়া শিবিরের পতাকা হতে তুলে নিয়েছিলেন মহাগুরু। জল্পনা উঠেছিল তার আগেও, মিঠুনের বাড়িতে মোহন ভাগবতের যাওয়া নিয়ে, সেই জল্পনা সত্যি করেই বিজেপিতে এসেছেন মিঠুন। আর তার পর থেকেই বাংলার মাটি আঁকড়ে থেকে প্রচার চালাচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ ভাটপাড়া থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণে কৌটো বোমা-গুলি
একাধিক বার বিজেপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রীর সভায় ভিড় না হলেও, যখনই রাস্তায় নেমেছেন তখনই নেমেছেন মানুষের ঢল। এসেছেন মিঠুনের ক্যারিশমাতেই। এতদিন ধরে একাধিক প্রার্থীর হয়ে রোড শো করেছেন তিনি। হুড খোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে। চারপাশে অগণিত মানুষ। বরাবর নিজের ডায়লগের জন্য বিখ্যাত মহাগুরু। চলচিত্র জগতের পর রাজনীতির মাঠেও তার ছাপ স্পষ্ট। বিজেপি ব্রিগেডের দিনই তিনি বলেছিলেন, “এক ছোবলেই ছবি”, আলোচনা কম হয়নি সেই উক্তি নিয়ে। আজ তিনি সভা করছেন পূর্ব বর্ধমানের রায়নায়।
আর সেখান থেকেই মাইক হাতে তীব্র আক্রমণ শানালেন শাসক দলের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, ভয় পাবেন না, নিজের ভোট নিজে দিন, অনেক বছর ভোট দিতে পারেন নি, এবার দিন, আপনারা ভোট দিলেই তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত। তার সঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তেহারের প্রকল্প দুয়ারে রেশনের কটাক্ষ করে বলেন, যেভাবে আমফানের চাল চুরি হয়েছে, সেভাবেই রেশন আপনাদের বাড়ি আসার আগেই চুরি হয়ে যাবে। সভা মঞ্চ থেকেই ঝাঁঝালো আক্রমণ করেছেন শাসক দলকে।
তিন বলেছেন, ” কিছু লোক চুরি চামারিকে পেশা করে ফেলেছে, তৃণমুলের ঝান্ডা হাতে শুধু টাকা কমিয়েছে, মানুষের ওপর জোর জুলুম করেছে।” তার পরই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, পাখনা কাটবো সবার সময় এলেই, আরো বলেন তিনি, এতদিন শুটিং ছেড়ে বাংলায় পরে আছি, এবার তৃণমূলকে হারিয়ে বাংলা বদলাবই।