নজরবন্দি ব্যুরোঃ গতকাল থেকেই সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের দিকে নজর ছিল সকলের। যেখানে প্রথম দিনেই পাশ হয় বহু প্রতীক্ষিত কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। সেইসঙ্গে গত বাদল অধিবেশনে হইহট্টগোল সহ বিধিভঙ্গের মত কার্যকলাপ কে ইস্যু করে অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয় ১২ জনকে। যা নিয়ে সরগরম গোটা দেশের রাজনীতি।
আরও পড়ুনঃ SSC: গ্রুপ সি তেও ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগ, বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল আদালত
যেখানে ভিন রাজ্যের অন্যান্য নেতা-নেত্রীদের পাশাপাশি রয়েছেন এই রাজ্যের দুই মহিলা সাংসদ দোলা সেন ও সান্তা ছেত্রী। এই নিয়েই আজ রাজ্যের শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ” এটা খুবই লজ্জার বিষয় যে ১২ জন সাংসদ রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দুই জন বাংলার মহিলা সাংসদ।”
তবে এখানেই শেষ নয়, রাজ্যের শাসক দলের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বাঙালি প্রসঙ্গ কে সামনে এনে বঙ্গ বিজেপির এই সভাপতি আরও বলেন, কেন এক জন বাঙালি সাংসদকে সরিয়ে সেই জায়গায় ভিন রাজ্যের একজন কে পাঠানো হবে। কেনই বা বাঙালি কে বঞ্ছিত করা হবে। তাহলে কি ঘাস্ফুলের সেই বহিরাগত তত্ব নিতান্তই রাজনৈতিক ?
রাজ্যে মহিলারা সুরক্ষিত নয়, মুখ্যমন্ত্রী কে তোপ সুকান্তর
এরপরে ও থামেননি বঙ্গবিজেপির এই নেতা। কন্যাশ্রী প্রকল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কে তুলোধনা করে তিনি বলেন, “ফালাকাটায় কলেজ ছাত্রীর উপরে হামলা হয়েছে। রাজ্যে মহিলারা সুরক্ষিত নন। বাংলার মহিলাদের সুরক্ষার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। অধিকাংশ জেলায় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট ধুঁকছে। তাই বিচার পাওয়া যাচ্ছে না।” যা থেকে পরিষ্কার বাংলায় মহিলারা একদমই সুরক্ষিত নয়।