নজরবন্দি ব্যুরোঃ সেপ্টেম্বর মাসে লাগাতার ঘূর্ণাবর্ত, ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপের কারণে নজিরবিহীন খারাপ অবস্থায় পড়েছেন বাংলার লাখো মানুষ। তাছাড়া বৃষ্টির কারনে ভরে ওঠা জলা ধার থেকে জল ছাড়ার কারনে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলার ৫ টি জেলায়। বন্যার ফলে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এরই মধ্যে এল খারাপ খবর। এবার মহিষাসুরের সাথে আসছে বর্ষাসুর! আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, পুজোর সময়ে ফের হানা দিতে পারে নিম্নচাপ।
আরও পড়ুনঃ বাংলার বন্যার জন্য দায় DVC-র, ক্ষুব্ধ মমতার চিঠি মোদীকে
এমনিতেই অক্টোবর মাস ঝড় নিম্নচাপের মাস। তারপর সতর্কবার্তা। আর সেই সতর্কবার্তা সত্যি করে যদি ফের বৃষ্টি হয় রাজ্যে তাহলে আর দেখতে হবে না। লাগাতার বৃষ্টি আর ভিন রাজ্যের ছাড়া জলাধারের জলে ভেসে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম, নজিরবিহীন খারাপ অবস্থায় রাজ্যের ৫টি জেলার বহু অংশ। এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর মধ্যেই নিম্নচাপের জেরে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাথে আশঙ্কা রয়েছে ঘুর্ণিঝড়েরও।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী এবারের পুজো ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে বৃষ্টির জল। অক্টোবর মাসের রেকর্ড আছে বঙ্গোপসাগরে একাধিক নিম্নচাপ এবং ঘুর্নিঝড় বা ঘুর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার। খুব স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ল্যাণ্ডফল হয় বাংলা বা উড়িষ্যায়। এবারেও বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী নিম্নচাপের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী ১০ তারিখ অর্থাৎ পঞ্চমীর দিনই বঙ্গোপসাগরে আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ জন্ম নেবে। পূর্ব উপকূলে আসার পথে পর্যাপ্ত শক্তি সঞ্চয় করে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে।
আবহাওয়া দফতর বলছে পঞ্চমী থেকে মহাষ্টমী পর্যন্ত রোদ ঝলমলে আকাশের দেখা মিলবে। কিন্তু আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে মহাষ্টমীর রাত থেকেই। যার ফলে বৃষ্টি হতে পারে বিজয়া দশমী পর্যন্ত। তবে সব ঠিক থাকলে নিম্নচাপের সম্ভাব্য গতিপথ অন্ধ্র প্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূল। তাই পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের বাকি অংশে ঝড় নয়, শুধু বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা।