ফের অস্বস্তিতে মোদী সরকার। প্রধানমন্ত্রী হামেশাই বলে থাকেন ভারত ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে গন্য হবে। কয়েক বছর আগে নীতি আয়োগের রিপোর্টে জানা গিয়েছিল ৪৫ বছরের মধ্যে শিখর ছুঁয়েছে বেকারত্ব। তবে কিছুদিনের মধ্যেই ধামাচাপা পড়ে যায় সেই রিপোর্ট। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতে বেকারত্বের হার ছ’বছরে সর্বনিম্ন। জোয়ার এসেছে কর্মসংস্থানে।
আরও পড়ুন : দলের সকলকে হোয়াটস অ্যাপ কংগ্রেস নেতার, সিপিএমের হয়ে প্রচারে নিষেধ
কিন্তু এরই মধ্যে সামনে এসেছে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন ও ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের যৌথ সমীক্ষার রিপোর্ট। তাতে প্রকাশ্যে এসেছে কর্মক্ষম ভারতীয় যুবসমাজের ৮৩ শতাংশই বেকার। গত দুই দশকে দেশে মাধ্যমিক পাশ এবং উচ্চশিক্ষিত যুবকদের মধ্যে বেকারত্বের হার প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। ২০২২ সালে ওই পরিসংখ্যান এসে দাঁড়িয়েছে ৬৬ শতাংশে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এর মধ্যে আট বছরই মোদীর অমৃতকাল।
নির্বাচনের প্রাক্কালে এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় কার্যত চাপে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতে শ্রমবাজারে করোনার সময়কালীন সমীক্ষায় এত পার্থক্য চোখে পড়েনি। বেকারত্ব ও কর্মসংস্থানের জ্বালায় জেরবার শিক্ষিত যুব সমাজ। জীবনযাপনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতাও বেড়েছে। নির্বাচনী প্রচারে মোদী সবচেয়ে বেশী জোর দিচ্ছে নারী শক্তির ওপরে। সেখানে স্নাতক নারীরাই দেশে বেশী কর্মহীন।স্থায়ী কাজের সুযোগের চেয়ে বর্তমানে ঠিকে শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে।
ভারতীয় যুবসমাজের ৮৩ শতাংশই বেকার, নির্বাচনের প্রাক্কালে আন্তর্জাতিক রিপোর্টে অস্বস্তিতে মোদী সরকার
রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের মোট কর্মশক্তির ৮২ শতাংশ অসংগঠিত ক্ষেত্রে যুক্ত, ৯০ শতাংশ অস্থায়ী কর্মী। অধিকাংশ স্নাতক যুবক – যুবতীদের মধ্যে রয়েছে দক্ষতার অভাব। কর্মভেদে লিঙ্গ বৈষম্যের কথাটিও উঠে এসেছে রিপোর্টে। চাকরীর গুণমান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মধ্যে। তবে রিপোর্টকে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় যুবসমাজ বিষয়ক মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর দাবি, ভারতীয় সংস্থার সমীক্ষাই সঠিক চিত্র তুলে ধরছে। ৬ কোটি ৪০ লক্ষের বেশি মানুষ EPFO-তে নাম নথিভুক্ত করেছেন, ৩৪ কোটির বেশি মুদ্রা ঋণ দেওয়া হয়েছে, তাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।