নজরবন্দি ব্যুরোঃ রাজ্যের অন্যতম বড় সমস্যা হল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার শিক্ষক নিয়োগে সচেষ্ট হলেও নানাবিধ সমস্যার জেরে থমকে রয়েছে হাজার হাজার নিয়োগ। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে শাসক দলের নেতা-বিধায়দেরও। এদিন বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন। সেখানেই তিনি জানান ২ মাসের মধ্যে ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুনঃ স্কুল সার্ভিস কমিশনে শিক্ষক নিয়োগের যাবতীয় খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
মঙ্গলবার শীতকালীন বিধানসভার অধিবেশনে পাথরপ্রতিমার তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানা জানতে চান, এসএসসিতে শিক্ষক নিয়োগ কবে শুরু করবে রাজ্য সরকার। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে জবাব দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। প্রশ্নের জবাবে ব্রাত্য বলেন, “আদালতের জট কাটিয়ে আগামী দু’মাসে ১৫ হাজার নিয়োগ হবে এস এস সি-তে।”
এদিকে উচ্চ প্রাথমিকে এত অভিযোগ জমা পড়েছে যা খতিয়ে দেখতে কমপক্ষে ৩ মাস সময় লাগবে বলে জানা যাচ্ছে। গত সপ্তাহেই কমিশন আদালতে জানায় অফলাইন ও অনলাইন মিলিয়ে প্রায় ২৬ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। যারমধ্যে মাত্র সাড়ে ছয় হাজারের মত আবেদনপত্রের শুনানি সম্ভব হয়েছে! এদিকে আদালতের নির্দেশর প্রতিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে কমিশনের অফিসে। যার ভিত্তিতে আবার অভিযোগকারীদের আলাদা আলাদা করে নাম তুলতে হবে আলাদা পোর্টালে। এবং ইন্টারভিউয়ের ভিত্তিতে তৈরি মেধাতালিকা হাই কোর্টে পেশ করতে হবে। সেই কারনেই আরও সময় চাই।
গত সপ্তাহে উচ্চ আদালত জানিয়েছে ১৫ সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি হবে। চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, ‘মহামান্য আদালতের কাছে আবেদন দ্রুত শুনানির কাজ শেষ করে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ সম্পন্ন করা হোক। আবার যেন মেধাতালিকায় কোন অসঙ্গতি না থাকে তা নিশ্চিত করুক স্কুল সার্ভিস কমিশন।’
২ মাসের মধ্যে ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ
উল্লেখ্য, আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় অনুযায়ী, ১০ জুলাই কমিশন দু’সপ্তাহ ধরে অভিযোগ গ্রহণ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু পরে ২০ জুলাই ডিভিশন বেঞ্চ চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ গ্রহণের সময়সীমা ৩১ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করার নির্দেশ দেয়। এছাড়াও রায়ে বলা হয় নিয়োগ প্রক্রিয়া জারি থাকলেও উচ্চ প্রাথমিকে ডিভিশন বেঞ্চের অনুমতি ছাড়া নিয়োগ করা যাবে না কাউকে।