নজরবন্দি ব্যুরোঃ একতা সময় বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধতে চেয়েছিলেন তিনি। রাজ্যসভায় বাম তথা সিপিআইএমের সবথেকে ভাল পার্ফরমার খানিকটা পার্ফর্মেন্সের জেরেই লোকসভার সাংসদ মহম্মদ সেলিমের চক্ষুশূল হন। প্রথমে সাসপেন্ড, পরে তদন্ত কমিটি, সাথে কেচ্ছা। কিছুই বাদ যায়নি একদা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর ব্লু আইড বয় ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়ের জীবন থেকে। আর সেই ঋতব্রত এবার বললেন, লাল ঝান্ডাকে বাঁচাতে চাইলে মমতার হাত শক্ত করুন!
আরও পড়ুনঃ ৭ থেকে ১১ বছরের শিশুদের দেওয়া যাবে কোভিশিল্ড, ট্রায়ালের অনুমতি সেরাম-কে।
কিন্তু কেন এমন বললেন তিনি? আসলে ঋতব্রতর নজরে ছিল ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাম সমর্থক দের আচমকা রামে নাম লেখানোর প্রয়াস। বিজেপি তে যেমন একের পর এক তৃণমূল নেতা যোগ দিয়েছেন, তেমনই লক্ষ লক্ষ বাম সমর্থক যোগ দিয়েছেন। লোকসভা বা বিধানসভায় প্রাপ্ত বিজেপির ভোটের প্রায় ৭৫ শতাংশই বাম ভোট। আর যে বাম ভোত টুকু পড়েছিল তাঁর একতা অংশ গেছে তৃণমূলের ঘরে। যার ফলে শূন্যে পৌঁছে গেছে বাম। আর বিরোধী দলের মর্যাদায় উঠে এসেছে বিজেপি।
ঋতব্রতর চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন আসল বামপন্থী। তাঁর কথায়, “আমাদের রাজ্যে সব থেকে বড় বামপন্থীর নাম হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” তারপরেই তিনি বলেন, “লাল ঝান্ডাকে বাঁচাতে চাইলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করুন। কারণ, ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় প্রয়োজন আছে। আর সেটা জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই শুধু সম্ভব।”
লাল ঝান্ডাকে বাঁচাতে চাইলে মমতার হাত শক্ত করুন, বলছেন ঋতব্রত
একদা দাপুটে বক্তা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য। রাজ্যসভায় তাঁর চাঁচাছোলা বক্তব্যের জন্যে একাধিকবার বাহবা কুড়িয়েছেন তিনি। সিপিআইএম তাঁকে বহিষ্কার করার পর যতদিন নির্দল সাংসদ হিসেবে রাজ্য সভায় ছিলেন তিনি, তাঁর বক্তব্যে বার বার উঠে এসেছে বাংলার কথা। এমনকি যে কাজ মমতা বন্দোপাধ্যায় কখনও করেননি সেই কাজ তিনি করেছিলেন ঋতব্রতর বেলায়। ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়ের ট্যুইট কে রিট্যুইট করেছিলেন মমতা। আর এখন গৌতম দেব বা বুদ্ধবাবুর সেই ব্লু আইড বয় তৃণমূলের প্রথম ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে একটির রাজ্য সভাপতি।