নজরবন্দি ব্যুরোঃ এখনও মন গলেনি মমতার, আপাতত BJP-তে থেকেই জনসেবা করবেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়! নির্বাচনে পরাজয়ের পর তৃণমূলকে বার্তা দিয়ে একাধিক মন্তব্য করেছেন রাজীব কিন্তু বর্তমান দল বিজেপি-র চোখে তিনি ছিলেন অজ্ঞাতবাসে। সেই অজ্ঞাতবাস কাটিয়ে এদিন রাজীব বিজেপি রাজ্য দফতরে জোড়া চিঠি পাঠিয়েছেন। বিজেপি সূত্রে খবর, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে শনিবার দুটি চিঠি এসে পৌঁছেছে দলের রাজ্য দপ্তরে।
আরও পড়ুনঃ ত্রিপুরায় মুকুল এফেক্ট! বিপ্লব দেবের ডাকা বৈঠকে গরহাজির বহু বিধায়ক
চিঠিতে রাজীব লিখেছেন, ডোমজুড় এলাকায় বিজেপি কর্মীদের ঘরছাড়া হওয়ার কাহিনী। এছাড়াও ‘তাঁর এলাকা’ ডোমজুড় থেকে ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের নামের একটি তালিকাও পাঠিয়েছেন রাজীব। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী এবং সহ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দুটি পাঠিয়েছেন তিনি। চিঠিতে রাজীব ক্ষতিগ্রস্ত বিজেপি কর্মীদের ক্ষতিপূরণের আবেদন জানিয়ে আবেদন করেছেন।
রাজ্যে ভোট পর্ব চলাকালীন এবং তাঁর আগে যারা তৃণমূল ছেড়ে মানুষের জন্যে কাজ করার তাগিদে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে তাঁদের মধ্যে অনেকে ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন। অনেকে আবার তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছেন রীতিমত ক্ষমা চেয়ে। কেউ কেউ মাথা ন্যাড়া করে পুরোন দলে ফিরছেন কেউ বা নিজেকে স্যানিটাইজ করে। রাজীবও চেষ্টার কসুর করেননি। এখনও মন গলেনি মমতার, হয়তো সেই কারনেই এখন তৃণমূলে ফেরা হলনা ‘প্রথম লটে’। বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
রাজীবের তৃণমূলে ফেরার ব্যাপারে সব থেকে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিন নেতা। কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ রায় এবং প্রসূন মুখোপাধ্যায়। কল্যান বলেছেন, “রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্যালু ইজ জিরো, সেটা প্রমাণ করে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি। এরপর ওঁকে নিলে কী উপকারিতা হবে না অপকারিতা হবে, সেটা দল বুঝবে!” অরূপ রায় প্রকাশ্যেই রাজীবের বিরুদ্ধে সওয়াল করেছেন। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “দিদির কাছে অনুরোধ করব, অন্তত হাওড়ায় যারা বেরিয়ে চলে গিয়েছেন, তাদের আর ঘরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।”
কদিন আগেই তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের বাড়িতে সৌজন্য সাক্ষাতে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বেরিয়ে প্রকাশ্যেই তিনি বিজেপির নীতির সমালোচনা করেন। সূত্র বলছে, রাজীব নাকি কুণালের কাছে এও বলেছেন, এ রাজ্যে সিএএ ও এনআরসি জারি করে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা চলছে। পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মা প্রয়াত হলে সেখানেও যান। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট তো আছেই! তবে সব কিছুর উর্দ্ধে উঠে ২ মাসের অজ্ঞাতবাস কাটিয়ে, বিজেপিতেই আছেন বুঝিয়েদিলেন রাজীব। সূত্রের খবর, আগামী ২৯ তারিখ কলকাতায় দলের কার্যকারিণী বৈঠকে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বিজেপির পক্ষে।