নজরবন্দি ব্যুরো: ফের ৩ কুড়মি নেতাকে আটক করল পুলিশ। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ মোট ৭ জনকে আটক করল পুলিশ। শনিবার সকালেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলার ঘটনায় শালবনী থেকে চারজনকে আটক করেছিল পুলিশ। এবার বেলা বাড়তেই পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি থেকেও আরও ৩ জন কুড়মি নেতাকে আটক করল পুলিশ। যদিওবার পুলিশের দাবি, হামলার অভিযোগে আটক করা হয়নি এই তিনজনকে!
পুলিশ সূত্রের খবর, গতকাল শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা যেভাবে কনভয়ে হামলার ঘটনায় কুড়মি নেতাদের দোষারোপ করছিলেন, তারই প্রতিবাদ জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ওই আন্দোলনকারীরা। ঠিক সেইসময় বিক্ষোভের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছান পুলিশ আধিকারিকরা। এরপরেই কমলেশ মাহাতো সহ তিন আদিবাসী কুড়মি নেতাকে সেখান থেকে আটক করে পুলিশ। অন্যদিকে, শুক্রবারের ঘটনার পর শনিবার সকাল থেকেই এলাকায় পুলিশের অতি সক্রিয়তা লক্ষ্য করা গিয়েছে। মোতায়েন রয়েছে বাড়তি পুলিশ আধিকারিক।

প্রসঙ্গত, গতকাল তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রায় শালবনিতে ছিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, নবজোয়ার যাত্রায় রীতিমত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। অন্যদিকে, গতকালই মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ির কাঁচ ভাঙে। একাধিক গাড়িতে ইটবৃষ্টি হয়। পরপর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় রীতিমত উত্তপ্ত হয়ে উঠে এলাকা। শুধু তাই নয়, হামলার পাশাপাশি তৃণমূল কর্মীদের মারধরেরও অভিযোগ ওঠে। এরপরেই এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দেন। এই ঘটনার পিছনে বিজেপির ইন্ধন আছে বলেই দাবি করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই ঘটনায় কুড়মি আন্দোলনকারীদের একাংশকে দায়ী করেছেন বীরবাহা হাঁসদা।
যদিও এই ঘটনার সঙ্গে কুড়মিদের কোনও যোগাযোগ নেই বলেই দাবি করেছেন আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। এই ঘটনার প্রসঙ্গে কুড়মি নেতা অজিত মাহাত বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও লোক জড়িত নয়। কিন্তু তবুও আদিবাসী কুড়মি সমাজের নাম যুক্ত করা হচ্ছে। আমাদের কোনও কর্মীকে গ্রেফতার করে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে চাইলে আমরা ছেড়ে কথা বলব না। আমরাও তৈরি আছি। তবে এই ঘটনার নিন্দা করছি। পাশাপাশি আসল দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।”