নজরবন্দি ব্যুরোঃ বৈঠকে শুধু ক্ষয়ক্ষতির হিসেব যাবে তিনি যাবেন না! কলাইকুন্ডা বৈঠক প্রসঙ্গে আজ সাগরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইয়াসের পর পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখা এবং ক্ষয়-ক্ষতির পর্যালোচনা করতে কথা ছিলো আজই আমনে সামনে বসবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কাল নবান্ন থেকে মমতা নিজে জানিয়েছিলেন, আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী আসবেন, আমাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে, আমি যাবো।
আরও পড়ুনঃ আদালতের আচরণ কলকাতা হাই কোর্টের ঐতিহ্য নষ্ট করেছে, নারদ নাটকের দোলাচালে ক্ষুব্ধ বিচারপতি
আজকের বৈঠকে রাজ্যের ক্ষয় ক্ষতি, কেন্দ্রের সাহায্য এসব নিয়েও আলোচনার কথা ছিলো, সম্ভাবনা ছিলো মুখ্যমন্ত্রী-প্রধান্মন্ত্রী একসঙ্গে ঘুরে দেখবেন বিপর্যস্ত কিছু এলাকা। কিন্তু রাত বাড়তেই বিষয় ঘুরে যায় অন্যদিকে। গতকাল রাতে দিল্লি থেকে নবান্নতে খবর আসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কলাইকুন্ডার বৈঠকে থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই বার্তা আসার পরেই এক প্রকার বেঁকে বসেন মমতা।
যদিও সকাল থেকে এই ঘটনার মোড় ঘুরেছে, শুভেন্দুর উপস্থিতির কারন নিয়ে একাধিক বিতর্ক ওঠায় নিজের উপস্থিতির ভ্যালিড কারণ দর্শাতে অধিকারী ইতিমধ্যেই নিজের বিরোধী দলনেতা হিসেবে স্বীকৃতি পত্র প্রকাশ করেছেন। তবু প্রশ্ন ছিলোই বৈঠকে কি আসবেন মুখ্যমন্ত্রী? হিঙ্গলগঞ্জের পর সাগরদ্বীপ পরিদর্শনে যান, ১২ জন প্রশাসনিক কর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৈঠকে শুধু ক্ষয়ক্ষতির হিসেব যাবে তিনি যাবেন না! সাগর দ্বীপের বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী নিজে জানালেন কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন না তিনি। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘূর্ণিঝড়ের রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির সব হিসেব-নিকেশ দিয়ে আসবেন দেবেন প্রধানমন্ত্রীকে। মমতা জানিয়েছেন “আমাকে কলাইকুন্ডায় যেতে হবে। যেতে প্রায় ৪৫ মিনিট সময় লাগবে। আমাদের একটা কাগজ হ্যান্ডওভার করতে হবে। তাই জাস্ট ১৫ মিনিটের জন্য আমাকে যেতে হবে। আমি রিভিউ মিটিংটায় থাকছি না। জাস্ট কাগজটা হ্যান্ডওভার করব, কোথায় কী ক্ষতি হয়েছে। যতটা এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে আছে।”