বৃহস্পতিবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় সভা করার পর শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিনের তুফানগঞ্জে নাগুর হাট হাই স্কুলের মাঠের সভা থেকে কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানায় নিলেন তৃণমূলনেত্রী।
আরও পড়ুন: ডায়মন্ড হারবারে প্রতিদ্বন্দ্বী অভিষেক, নাম ঘোষণা হতেই ‘হেভিওয়েট’ তৃণমূল প্রার্থীকে ভাই সম্বোধন মজনুর
মমতার অভিযোগ, “অনেকের চাকরি খেয়েছেন। এবার জনগণের আদালতে আপনার বিচার হবে।” একই সঙ্গে সিএএ নিয়ে সরব হতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, “মাছের মাথা হল সিএএ, আর ল্যাজা হল এনআরসি। কোথাও নাম লেখাবেন না। নাম লেখালেই নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে। আপনাদের সবার নাম রয়েছে, আপনারা চিন্তা করবেন না। আমি বাংলায় সিএএ হতে দেব না।”
একুশের বিধানসভায় শীতলকুচির জোরপাটকির ৫/১২৬ নম্বর বুথে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মারা যান ৫ জন। মাথাভাঙা থেকে সেই প্রসঙ্গই তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিশানায় নিলেন বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিষ ধরকে। যিনি সদ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ পদ থেকে অবসর নিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘এক ঢিলে দুই পাখি’ মারলেন তৃণমূলনেত্রী। উত্তরবঙ্গের ভোটপ্রচারের সঙ্গেই জুড়ে দিলেন বীরভূমকে। মমতার কথায়, “শীতলকুচিতে ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে। এত মানুষ মেরে হাতের রক্ত এখনও মোছেনি। এখন বীরভূমে গিয়ে আবার ভোটে দাঁড়িয়েছে!”
অনেকের চাকরি খেয়েছেন, জনগণের আদালতে বিচার হবে, অভিজিতকে কটাক্ষ মমতার
১৯ তারিখ থেকে লোকসভা নির্বাচন শুরু। প্রথম দফায় আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি আসনে ভোটগ্রহণ। সেই কারণেই উত্তরবঙ্গ থেকে প্রচার শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল প্রকাশ চিক বরাইককে টিকিট দিয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির প্রার্থী মনোজ টিগ্গা।