নজরবন্দি ব্যুরোঃ সম্প্রতি নদিয়ায় পা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। রাশ উৎসবের মঞ্চ থেকেই সিএএ-এর বিরোধিতা করে সচ্চার হলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাফ জানিয়ে দিলেন নাগরিকত্ব বিল তিনি জারি করতে দেবেন না বাংলায়। জীবন দিয়ে হলেও কাউকে ভুমিহীন থাকতে দেবেন না বলে তিনি জানিয়ে দেন।
আরও পড়ুনঃপুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, মাথা ফাটল চাকরি প্রার্থীর, রণক্ষেত্র কলকাতা
ভাষনে মতুয়া ও নদিয়ার উদ্বাস্তু মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা উঠে আসে। কী বললেন তিনি? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে কত মানুষ এসেছে। কষ্ট করে সংসার চালিয়েছেন। আজ আমি তাদের নিঃশর্ত জমির দলিল দিচ্ছি। কেন দিচ্ছি? তারা জমি পাওয়ার অধিকার। যে যে জায়গায় উদ্বাস্তুরা যেখানে যেখানে বসে আছেন, তারা সবাই নিঃশর্ত জমির দলিল পাবেন। একটা জায়গা থেকেও উচ্ছেদ করতে দেব না। এটা আমাদের সরকারের সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি।’
মতুয়াদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন,‘আমি মতুয়া ভাই-বোনেদের বলছি, আপনারা এখানকার নাগরিক। পুরোপুরি নাগরিক। আপনাদের উপর কোনও রকম কেউ কিছু করতে পারবে না। মনে রাখবেন আমি বড় মার চিকিৎসা একা করেছি। আপনাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে দেব না। আমি জীবন দিতে তৈরি। নাগরিকত্ব কাড়তে দেব না।’
২০২৪ এ বিজেপি ক্ষমতায় আসবে না এদিন অসম্ভব আত্ম বিশ্বাসের সঙ্গে মমতা জানিয়ে দেন। তিনি জানান, “আগের বার বিহার-ঝাড়খন্ডে তাদের সরকার ছিল। বিহার-ঝাড়খন্ড কোথাও নেই। কর্নাটকে হারবে। কেরলে হারবে। তামিলনাড়ুতে আমার বন্ধুর সরকার। গুজরাটে আগের বার সব সিট পেয়েছিল। ষাটে ষাট। উত্তর প্রদেশে সব পেয়েছিল। এবার কি মনে করেন সব সিট পাবে?”
প্রাণ থাকতে নাগরিকত্ব কাড়তে দেব না, বিজেপিকে নিশানা করে চড়াও মুখ্যমন্ত্রী
ভোটমুখী গুজরাটের জন্য বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে গুজরাটে আসা অমুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। হিন্দু,বৌদ্ধ,শিখ,জৈন, পারসি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫ অনুযায়ী এই নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে দিলীপ ঘোষ থেকে শুভেন্দু বারবার বলেছেন নাগরিকত্ব বিল অতিশীঘ্র লাগু করা হবে। জঙ্গী যোগ নিয়ে বার বার তাঁদের মুখে শোনা গেছে নাগরিকত্ব বিলের কথা। এবার তৃণমূলের হাতে বড় তাস নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা করা। বাংলায় উদ্বাস্তু মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়, তাঁদের কাছেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।