নজরবন্দি ব্যুরোঃ স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়। এখন জেলই ঠিকানা প্রাক্তন মন্ত্রী এবং তাঁর সঙ্গীর। তাঁদের নিয়ম করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডির আধিকারিকরা। প্রতিদিন হাতে আসছে নতুন নতুন তথ্য। সবই হচ্ছে হাই কোর্টের নির্দেশ মত। স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিপুল দুর্নীতি নিয়ে যখন তোলপাড় রাজ্য তখন প্রকাশ্যে এল মাদ্রাশা শিক্ষক নিয়োগেও দুর্নীতির খবর।
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে বামেদের মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি, আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি অশোকের
মাদ্রাসায় দুর্নীতি হয়েছে দাবি করে এক চাকরিপ্রার্থী দ্বারস্থ হল কলকাতা হাই কোর্টের। মামলা উঠল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) বাতিল করার অভিযোগে উঠেছে এদিন। চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ তাঁর পরিবর্তে অন্য কেউ উত্তরপত্রে ‘কলম চালিয়েছে’। অভিযোগ পেয়ে উত্তরপত্র যাচাইয়ের জন্য শুক্রবার সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির (সিএফএসএল) ডিরেক্টর এবং ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
মামলাকারী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘‘ইচ্ছাকৃত ভাবে আমাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। বঞ্চিত করা হয়েছে আমাকে। আরও অনেকের সঙ্গে এ রকম দুর্নীতি হয়েছে।’’ মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, “আব্দুল হামিদকে বঞ্চিত করা হয়েছে। শুধু মাত্র হামিদের সঙ্গে ঘটেছে তা নয়, আরও অনেকের সঙ্গে হয়েছে। সেই কারনেই তদন্ত হওয়া জরুরি।”
SSC-র পর মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগেও দুর্নীতি, উত্তরপত্র ফরেন্সিকে পাঠাতে নির্দেশ
মাদ্রাসা কমিশনের আইনজীবী এবং চাকরিপ্রার্থীদের যুক্তি পালটা যুক্তি শুনে বিচারপতি বলেন, “উত্তরপত্র খতিয়ে দেখবে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি। পরীক্ষার্থীর কলমের কালির সঙ্গে অন্য কলমের কালি যাচাই করা হবে।” পরীক্ষার খাতা, কলম শুক্রবার, ২৫ অগস্টের মধ্যে হাই কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
পাশাপশি আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যে তা সিএফএসএল-কে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ ব্যাপারে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিএফএসএল-কে। এই মামলা শুনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যে শিক্ষায় দুর্নীতি এখন নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’